ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনুশকার যৌনাঙ্গে অস্বাভাবিক কিছু পুশ করা হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১
  • / 86

রাজধানীর কলাবাগানে আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার অনুসন্ধানে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ভিকটিমের রেক্টাম ও যৌনাঙ্গে অস্বাভাবিক আঘাতের চিহ্ন। 

এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল ফরেনসিক টিম ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্তের সব কর্মকাণ্ড পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডিসহ আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। 

সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানিয়েছে, আনুশকার যৌনাঙ্গে অস্বাভাবিক কিছু পুশ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিদেশি বড় পুরুষাঙ্গ আকৃতির কিছু একটা তার রেক্টাম ও যৌনাঙ্গে পুশ করানো হয়েছে। আর এই কারণেই মূলত তার ওইসব জায়গা ফেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় বলেও জানায় সূত্রটি।

তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত বলতে নারাজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মেয়েটি। তবে এই মুহূর্তে সকল ঘটনা বলতে চাই না। তদন্তের স্বার্থে সকল বিষয়ে এখন বলা ঠিকও হবে না।

এর আগে, ফরেনসিক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, বিকৃত যৌনাচারের কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। 

তারও আগে চলতি মাসের ৭ জানুয়ারি নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে বান্ধবী আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে ধর্ষক দিহানের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেই ভুক্তভোগী আনুশকাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকেই দিহান ও তার তিন বন্ধুকে কলাবাগান থানা পুলিম আটক করে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাকি তিনজনকে ছেড়ে দিয়ে দিহানকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে ওইদিনই দিবাগত রাতে নিহত আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়। পরে মামলার একমাত্র আসামি দিহানকে সেদিনই গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সে অনুযায়ী আসামি দিহান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এখন তিনি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

আনুশকার যৌনাঙ্গে অস্বাভাবিক কিছু পুশ করা হয়েছে

আপডেট টাইম : ০৫:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১

রাজধানীর কলাবাগানে আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার অনুসন্ধানে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ভিকটিমের রেক্টাম ও যৌনাঙ্গে অস্বাভাবিক আঘাতের চিহ্ন। 

এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল ফরেনসিক টিম ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্তের সব কর্মকাণ্ড পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডিসহ আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। 

সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানিয়েছে, আনুশকার যৌনাঙ্গে অস্বাভাবিক কিছু পুশ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিদেশি বড় পুরুষাঙ্গ আকৃতির কিছু একটা তার রেক্টাম ও যৌনাঙ্গে পুশ করানো হয়েছে। আর এই কারণেই মূলত তার ওইসব জায়গা ফেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় বলেও জানায় সূত্রটি।

তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত বলতে নারাজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মেয়েটি। তবে এই মুহূর্তে সকল ঘটনা বলতে চাই না। তদন্তের স্বার্থে সকল বিষয়ে এখন বলা ঠিকও হবে না।

এর আগে, ফরেনসিক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, বিকৃত যৌনাচারের কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। 

তারও আগে চলতি মাসের ৭ জানুয়ারি নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে বান্ধবী আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে ধর্ষক দিহানের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেই ভুক্তভোগী আনুশকাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকেই দিহান ও তার তিন বন্ধুকে কলাবাগান থানা পুলিম আটক করে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাকি তিনজনকে ছেড়ে দিয়ে দিহানকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে ওইদিনই দিবাগত রাতে নিহত আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়। পরে মামলার একমাত্র আসামি দিহানকে সেদিনই গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সে অনুযায়ী আসামি দিহান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এখন তিনি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

নিউজ লাইট ৭১