ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু পুষ্টির জন্য হুমকি বড় জলবায়ু পরিবর্তন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯
  • / 109

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে শিশু পুষ্টির জন্য একটি বড় হুমকি। দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৪৫ শতাংশেরও বেশি পুষ্টিহীন বা অতিরিক্ত ওজন ও গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সারা বিশ্বে একই বয়সের শিশুদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ এ ধরনের সংকটের মুখে রয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় অর্ধেক শিশু এমন ঝুঁকিতে রয়েছে। খবর বিবিসির।

এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় ওপরের সারিতে রয়েছে ভারত। দেশটির পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৫৪ শতাংশই অপুষ্টির শিকার। উদ্বেগের বাইরে নেই বাংলাদেশও। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, নগরায়ণ এবং চিনি ও চর্বিযুক্ত আধুনিক ডায়েটের মতো উপাদানগুলোকে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের এক কোটি ৯০ লাখেরও বেশি শিশু জলবায়ু পরিবর্তন বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যার ভয়াবহতা ও নদীভাঙনের ফলে পরিবারগুলো শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে সেখানে লোকজনের উপচেপড়া ভিড় বিরাজ করে। এসব বস্তিতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি পরিষেবার অভাব রয়েছে। এ কারণে শিশুরা পুষ্টিহীন হয়ে পড়ছে। 

চরম জলবায়ু সংক্রান্ত ঘটনা খরা ও বন্যার ফলে কৃষক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যা ও খরায় ফলন কম হওয়ায় খাবারের দাম বেড়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র পরিবারগুলো। বাংলাদেশ চলতি বছর জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও অ্যাকশন পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্ব শুরু করবে। এই কৌশলটি দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের দিকে বেশি দৃষ্টি দেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবা নিশ্চিতের ওপর জোর দেওয়া হবে।

দুনিয়াজুড়ে দরিদ্র শিশুরাই বেশি অপুষ্টির শিকার। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, গত কয়েক দশকের প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক যাবতীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এই মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি হারিয়ে ফেলেছি যে, শিশুদের খাবার স্বাস্থ্যকর না হলে তাদের জীবনযাপনও স্বাস্থ্যকর হয় না। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শিশু ও তরুণ-তরুণীরা বেঁচে থাকলেও অপুষ্টিজনিত কারণে তাদের জীবনমানের উন্নতি তেমন হচ্ছে না।

Tag :

শেয়ার করুন

শিশু পুষ্টির জন্য হুমকি বড় জলবায়ু পরিবর্তন

আপডেট টাইম : ১০:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে শিশু পুষ্টির জন্য একটি বড় হুমকি। দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৪৫ শতাংশেরও বেশি পুষ্টিহীন বা অতিরিক্ত ওজন ও গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সারা বিশ্বে একই বয়সের শিশুদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ এ ধরনের সংকটের মুখে রয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় অর্ধেক শিশু এমন ঝুঁকিতে রয়েছে। খবর বিবিসির।

এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় ওপরের সারিতে রয়েছে ভারত। দেশটির পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৫৪ শতাংশই অপুষ্টির শিকার। উদ্বেগের বাইরে নেই বাংলাদেশও। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, নগরায়ণ এবং চিনি ও চর্বিযুক্ত আধুনিক ডায়েটের মতো উপাদানগুলোকে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের এক কোটি ৯০ লাখেরও বেশি শিশু জলবায়ু পরিবর্তন বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যার ভয়াবহতা ও নদীভাঙনের ফলে পরিবারগুলো শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে সেখানে লোকজনের উপচেপড়া ভিড় বিরাজ করে। এসব বস্তিতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি পরিষেবার অভাব রয়েছে। এ কারণে শিশুরা পুষ্টিহীন হয়ে পড়ছে। 

চরম জলবায়ু সংক্রান্ত ঘটনা খরা ও বন্যার ফলে কৃষক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যা ও খরায় ফলন কম হওয়ায় খাবারের দাম বেড়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র পরিবারগুলো। বাংলাদেশ চলতি বছর জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও অ্যাকশন পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্ব শুরু করবে। এই কৌশলটি দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের দিকে বেশি দৃষ্টি দেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবা নিশ্চিতের ওপর জোর দেওয়া হবে।

দুনিয়াজুড়ে দরিদ্র শিশুরাই বেশি অপুষ্টির শিকার। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, গত কয়েক দশকের প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক যাবতীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এই মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি হারিয়ে ফেলেছি যে, শিশুদের খাবার স্বাস্থ্যকর না হলে তাদের জীবনযাপনও স্বাস্থ্যকর হয় না। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শিশু ও তরুণ-তরুণীরা বেঁচে থাকলেও অপুষ্টিজনিত কারণে তাদের জীবনমানের উন্নতি তেমন হচ্ছে না।