ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফাঁসি গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
  • / 101

উপরে (বাম থেকে) আবদুল জব্বার, জাছিজার রহমান, আবদুল ওয়াহেদ, নিচের সারিতে মোন্তাজ, আজগর ও রনজু

একাত্তরে গাইবান্ধা সদরে অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা ও দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় এসেছে যুদ্ধাপরাধ আদালতে। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে।

সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন—রঞ্জু মিয়া, আবদুল জব্বার মণ্ডল, তার ছেলে জাছিজার রহমান খোকা, আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ও মনতাজ আলী বেপারি ওরফে মমতাজ। তাদের মধ্যে কেবল রঞ্জু মিয়া রায়ের সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

পাঁচ আসামির সবাই গাইবান্ধা সদর উপজেলার নান্দিনা ও চক গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। একাত্তরে তারা ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়ে তারা রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান এবং ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যুদ্ধাপরাধ ঘটান বলে উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে।

১৭৬ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা চারটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগেই আসামিদের দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।

Tag :

শেয়ার করুন

ফাঁসি গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের

আপডেট টাইম : ১০:৩৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

একাত্তরে গাইবান্ধা সদরে অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা ও দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় এসেছে যুদ্ধাপরাধ আদালতে। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে।

সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন—রঞ্জু মিয়া, আবদুল জব্বার মণ্ডল, তার ছেলে জাছিজার রহমান খোকা, আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ও মনতাজ আলী বেপারি ওরফে মমতাজ। তাদের মধ্যে কেবল রঞ্জু মিয়া রায়ের সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

পাঁচ আসামির সবাই গাইবান্ধা সদর উপজেলার নান্দিনা ও চক গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। একাত্তরে তারা ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়ে তারা রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান এবং ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যুদ্ধাপরাধ ঘটান বলে উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে।

১৭৬ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা চারটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগেই আসামিদের দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।