ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিরছে ঘরোয়া ক্রিকেট

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০১:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 96

৭১: বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সফরে না গেলে ওই সময় বিকল্প কিছু করা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি। খুব দ্রুতই দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানো হবে, জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

বাংলাদেশের সফর নিয়ে এসএলসিকে লঙ্কান মন্ত্রীর নিদের্শনা শ্রীলঙ্কার শর্ত মেনে সফরে যাবে না বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া নানা শর্ত মেনে বাংলাদেশ দল সেখানে সফরে যাবে না বলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান বিসিবি সভাপতি। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, শেষ পর্যন্ত সিরিজটি না হলে দেশের মাটিতে কোনো সিরিজ বা বিকল্প কিছু আয়োজন করা হবে কিনা।

নাজমুল হাসান জানালেন, পারিপার্শ্বিকতা মাথায় রেখে নিজেদের সাধ্যমতো কিছু আয়োজন করা হবে। ‘আমরা ক্রিকেট ফিরিয়ে নিয়ে আসব। নিজেরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করব, এখনই। কী করব, এখনই বলছি না। কিছু তো একটা করবই। ক্রিকেট আমরা মাঠে ফেরাব। খুব শিগগিরই। এখন কোচিং স্টাফরা আছে, ওরা থেকে যাবে। ছেলেরা এতদিন খেলার বাইরে, ওদের খেলার মধ্যে নিয়ে আসব।’

‘একবারে ওইরকম বড় কিছু করতে পারব না, সব ক্লাব ম্যানেজ করতে পারব না, তবে যতটুকু ম্যানেজ করতে পারব, সেটাই আমরা করব। ৪০ জন ক্রিকেটার নিয়ে হতে পারে বা ৬০ জন, যতটুকু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, করব। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার ও সবার নিরাপত্তাও আমাদের দেখতে হবে। তবে খেলা মাঠে গড়াবে অবশ্যই।’

গত ১৬ মার্চ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের পর ওই টুর্নামেন্ট স্থগিত করাসহ দেশে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ করে দেয়া হয়। করোনার দীর্ঘ বিরতির পর শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে জাতীয় দলের পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ক্যাম্প শুরুর কথা ছিল।

তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের কঠিন সব শর্তসহ পাঠানো নীতিমালা অনুসরণ করতে গেলে এইচপির লঙ্কা সফরই অনেকটা অনিশ্চিত।

এদিকে বিসিবি সভাপতিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এমন সব কঠিন শর্তে জাতীয দলের সফর অসম্ভব। সফর বাতিল হলে জাতীয় দল হয়তো অন্য কোনো সিরিজের অপেক্ষায় থাকবে, প্রস্তুতি নেবে সেভাবেই। তবে এইচপি ক্যাম্প নিয়েও নতুন ভাবনা শুরু করেছে বিসিবি। ইতোমধ্যে নিজেদের পরিকল্পনার বিষয়টিও জানিয়েছেন এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

টাইগারদের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এইচপি চেয়ারম্যান দুর্জয়, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান, ক্রিকেট পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। সভা শেষে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন লঙ্কান বোর্ডের কঠিন শর্ত মেনে সফরে যাওয়া অসম্ভব।

সফর বাতিল হলে এইচপি ক্যাম্প নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাতে গিযে গণমাধ্যমকে এইচপি চেয়ারম্যান দুর্জয় বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজটি তো আমাদের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছিলো। সেটা না হলে আমরা আমাদের ক্যাম্প শুরু করার প্ল্যান করছি। ক্যাম্পটা এখন যেহুতু অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিকেএসপিতে করছে ওটা শেষ হলে সেখানেই করতে পারি।’

‘স্বাভাবিকভাবে এইচপির ক্যাম্পটাতো একাডেমিতে হয়, সে সুযোগটা আমাদের আছেই। মাঠ কোনো সমস্যা না। আমাদের বেশ কিছু মাঠ আছে যেগুলো বোর্ড পরিচালনা করে। আবাসনটা চিন্তা করতে হবে, মাঠের কাছাকাছি ব্যবস্থা করার জন্য।’ যোগ করেন দুর্জয়। জাতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বিসিবির এই পরিচালক যোগ করেন, ‘করোনার কারণে তো অনেক কিছুই হচ্ছে যা আমরা আশা করি না।

তারপরও বাস্তবতা মেনে নিতে হবে তারা যেহেতু ম্যানেজ করতে পারছে না। ক্রিকেটারদের সংখ্যা বা সাপোর্ট স্টাফদের সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে। এইচপির যে ব্যাপারটা জাতীয় দলকে সাহায্য করে, যেহেতু তারা অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না।’

‘এখন আমরা যেটা আয়োজন করে নিতাম সেটাও হচ্ছে না। তাই আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। নতুন ভাবনা বলতে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা যেহেতু চলে আসছে তারা তাদের প্রস্তুতি নেবে। আমরাও আমাদের এইচপির ক্যাম্পটা শুরু করার চেষ্টা করবো।’

Tag :

শেয়ার করুন

ফিরছে ঘরোয়া ক্রিকেট

আপডেট টাইম : ০১:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

৭১: বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সফরে না গেলে ওই সময় বিকল্প কিছু করা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি। খুব দ্রুতই দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানো হবে, জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

বাংলাদেশের সফর নিয়ে এসএলসিকে লঙ্কান মন্ত্রীর নিদের্শনা শ্রীলঙ্কার শর্ত মেনে সফরে যাবে না বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া নানা শর্ত মেনে বাংলাদেশ দল সেখানে সফরে যাবে না বলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান বিসিবি সভাপতি। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, শেষ পর্যন্ত সিরিজটি না হলে দেশের মাটিতে কোনো সিরিজ বা বিকল্প কিছু আয়োজন করা হবে কিনা।

নাজমুল হাসান জানালেন, পারিপার্শ্বিকতা মাথায় রেখে নিজেদের সাধ্যমতো কিছু আয়োজন করা হবে। ‘আমরা ক্রিকেট ফিরিয়ে নিয়ে আসব। নিজেরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করব, এখনই। কী করব, এখনই বলছি না। কিছু তো একটা করবই। ক্রিকেট আমরা মাঠে ফেরাব। খুব শিগগিরই। এখন কোচিং স্টাফরা আছে, ওরা থেকে যাবে। ছেলেরা এতদিন খেলার বাইরে, ওদের খেলার মধ্যে নিয়ে আসব।’

‘একবারে ওইরকম বড় কিছু করতে পারব না, সব ক্লাব ম্যানেজ করতে পারব না, তবে যতটুকু ম্যানেজ করতে পারব, সেটাই আমরা করব। ৪০ জন ক্রিকেটার নিয়ে হতে পারে বা ৬০ জন, যতটুকু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, করব। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার ও সবার নিরাপত্তাও আমাদের দেখতে হবে। তবে খেলা মাঠে গড়াবে অবশ্যই।’

গত ১৬ মার্চ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের পর ওই টুর্নামেন্ট স্থগিত করাসহ দেশে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ করে দেয়া হয়। করোনার দীর্ঘ বিরতির পর শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে জাতীয় দলের পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ক্যাম্প শুরুর কথা ছিল।

তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের কঠিন সব শর্তসহ পাঠানো নীতিমালা অনুসরণ করতে গেলে এইচপির লঙ্কা সফরই অনেকটা অনিশ্চিত।

এদিকে বিসিবি সভাপতিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এমন সব কঠিন শর্তে জাতীয দলের সফর অসম্ভব। সফর বাতিল হলে জাতীয় দল হয়তো অন্য কোনো সিরিজের অপেক্ষায় থাকবে, প্রস্তুতি নেবে সেভাবেই। তবে এইচপি ক্যাম্প নিয়েও নতুন ভাবনা শুরু করেছে বিসিবি। ইতোমধ্যে নিজেদের পরিকল্পনার বিষয়টিও জানিয়েছেন এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

টাইগারদের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এইচপি চেয়ারম্যান দুর্জয়, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান, ক্রিকেট পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। সভা শেষে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন লঙ্কান বোর্ডের কঠিন শর্ত মেনে সফরে যাওয়া অসম্ভব।

সফর বাতিল হলে এইচপি ক্যাম্প নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাতে গিযে গণমাধ্যমকে এইচপি চেয়ারম্যান দুর্জয় বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজটি তো আমাদের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছিলো। সেটা না হলে আমরা আমাদের ক্যাম্প শুরু করার প্ল্যান করছি। ক্যাম্পটা এখন যেহুতু অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিকেএসপিতে করছে ওটা শেষ হলে সেখানেই করতে পারি।’

‘স্বাভাবিকভাবে এইচপির ক্যাম্পটাতো একাডেমিতে হয়, সে সুযোগটা আমাদের আছেই। মাঠ কোনো সমস্যা না। আমাদের বেশ কিছু মাঠ আছে যেগুলো বোর্ড পরিচালনা করে। আবাসনটা চিন্তা করতে হবে, মাঠের কাছাকাছি ব্যবস্থা করার জন্য।’ যোগ করেন দুর্জয়। জাতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বিসিবির এই পরিচালক যোগ করেন, ‘করোনার কারণে তো অনেক কিছুই হচ্ছে যা আমরা আশা করি না।

তারপরও বাস্তবতা মেনে নিতে হবে তারা যেহেতু ম্যানেজ করতে পারছে না। ক্রিকেটারদের সংখ্যা বা সাপোর্ট স্টাফদের সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে। এইচপির যে ব্যাপারটা জাতীয় দলকে সাহায্য করে, যেহেতু তারা অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না।’

‘এখন আমরা যেটা আয়োজন করে নিতাম সেটাও হচ্ছে না। তাই আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। নতুন ভাবনা বলতে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা যেহেতু চলে আসছে তারা তাদের প্রস্তুতি নেবে। আমরাও আমাদের এইচপির ক্যাম্পটা শুরু করার চেষ্টা করবো।’