মেট্রোরেল নিয়ে রাজধানীবাসীর জন্য দারুণ সুখবর
- আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / 96
৭১: প্রাণঘাতী করোনার কারণে কাজ কিছুটা থেমে গেলেও এখন প্রায় পুরোদমে চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ।
জানা গেছে, আগামী বছর (২০২১) থেকেই মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন রাজধানীবাসী। এমনটাই প্রত্যাশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এমআরটি লাইন-৬ নামে মেট্রোরেল প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। পরের বছর জাইকার সঙ্গে ঋণ চুক্তি করে। আর মূল কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে।
এর আওতায় রাজধানী উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল সিটি সেন্টার পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ চলছে। আর প্রকল্পটির আওতায় মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশের জন্য সোশ্যাল সার্ভে চলছে।
প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় ধরা হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরে তা এগিয়ে আনা হয়।
এদিকে ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন বর্ষের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
জানা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪৯ দশমিক ১৫ ভাগ। এরমধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের ৭৫ দশমিক ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের শেষ হয়েছে ৪২ দশমিক ৫০ ভাগ কাজ।
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, এখন যে পরিস্থিতি আছে, এটা যদি খুব প্রলম্বিত না হয়; তাহলে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, কোনো কারণে যদি পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যায়, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত লাইন-৬ ট্র্যাক চালানোর জন্য জাপানে রেলকোচ নির্মাণ করা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কোচের শিপমেন্টটি অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর সেকশন পর্যন্ত রেল ট্র্যাক স্থাপন করা হচ্ছে এবং সেখানে বৈদ্যুতিক লাইনও বসানো হয়েছে। বর্তমানে স্টেশন নির্মাণ এবং রেলপথ স্থাপন কাজ চলছে।
পিলারের ওপর ভায়াডাক্ট, তার ওপর মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে স্টেশন। প্রত্যেক শ্রমিক-কর্মকর্তা দু-দফা করোনা পরীক্ষার পরই যোগ দিতে পারছেন কাজে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই কাজ চলছে। ধীরে-ধীরে গতি বাড়ছে প্রকল্পে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে এবং সব স্টেশনে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল।