ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডা. সাবরিনার দুই এনআইডিতে ২ স্বামী!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 77

৭১: করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে কারাগারে থাকা জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

জানা গেছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ডা. সাবরিনা। যার দুটি আইডিই এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুটিতে তার স্বামীর নাম আলাদা। একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স পাঁচ বছর কম দেখানো হয়েছে।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন ইসির কাছে। তারাই এখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। ইসির একজন কর্মকর্তা বুধবার (২৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইন অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য বা ঘোষণা দিয়ে ভোটার হলে ৬ মাস কারাদণ্ড, অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।

জানা গেছে, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটিতে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক পাঁচ বছর।

একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন অপরটিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ মুশাররফ হসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন।

এছাড়াও দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানাও ব্যবহার করেছেন সাবরিনা। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।

Tag :

শেয়ার করুন

ডা. সাবরিনার দুই এনআইডিতে ২ স্বামী!

আপডেট টাইম : ০৬:০৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

৭১: করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে কারাগারে থাকা জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

জানা গেছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ডা. সাবরিনা। যার দুটি আইডিই এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুটিতে তার স্বামীর নাম আলাদা। একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স পাঁচ বছর কম দেখানো হয়েছে।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন ইসির কাছে। তারাই এখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। ইসির একজন কর্মকর্তা বুধবার (২৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইন অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য বা ঘোষণা দিয়ে ভোটার হলে ৬ মাস কারাদণ্ড, অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।

জানা গেছে, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটিতে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক পাঁচ বছর।

একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন অপরটিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ মুশাররফ হসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন।

এছাড়াও দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানাও ব্যবহার করেছেন সাবরিনা। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।