ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনের শান্তি ছাড়া ইসরায়েলের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই: সৌদি আরব

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০২০
  • / 83

৭১: ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরব ‘আরব শান্তি পরিকল্পনা’র মূলভিত্তিগুলো অনুসরণ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।

গত মঙ্গলবার জার্মানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসের সঙ্গে বার্লিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্রো নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধিরও জোর দাবী জানান সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল।

ফয়সাল আরো বলেন, ‘২০০২ সালের ‘আরব শান্তি পরিকল্পনা’র মাধ্যমে সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে পরিপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা আছে। তবে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব শান্তি পরিকল্পনা বিঘ্নিত করছে, যা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।’

ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এক তরফা নীতি নিয়ে ফয়সাল বলেন, ‘সম্পর্কের যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলকে অবশ্যই শান্তি পক্রিয়া গড়তে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ‘আরব শান্তি পরিকল্পন ‘ ও প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে গৃহীত কৌশলগত নীতিমালায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে করে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে ফিলিস্তিনের জনগন।’

২০০২ সালে ঘোষিত সৌদি আরবের ‘আরব শান্তি পরিকল্পনা’ মতে, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়তে ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের পর থেকে দখলকৃত অঞ্চল ছাড়তে হবে।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট ২০২০) ইসরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাতের স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরির জন্য শান্তি চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তির পর প্রথম বারের মতো সৌদির পক্ষ থেকে কথা বলা হয়। ইরান, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ এ চুক্তির প্রতিবাদ করলেও মিশর, ওমান ও বাহরাইন এ চুক্তিকে স্বাগত জানায়।

সূত্র: আরব নিউজ

Tag :

শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনের শান্তি ছাড়া ইসরায়েলের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই: সৌদি আরব

আপডেট টাইম : ০৩:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০২০

৭১: ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরব ‘আরব শান্তি পরিকল্পনা’র মূলভিত্তিগুলো অনুসরণ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।

গত মঙ্গলবার জার্মানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসের সঙ্গে বার্লিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্রো নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধিরও জোর দাবী জানান সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল।

ফয়সাল আরো বলেন, ‘২০০২ সালের ‘আরব শান্তি পরিকল্পনা’র মাধ্যমে সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে পরিপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা আছে। তবে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব শান্তি পরিকল্পনা বিঘ্নিত করছে, যা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।’

ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এক তরফা নীতি নিয়ে ফয়সাল বলেন, ‘সম্পর্কের যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলকে অবশ্যই শান্তি পক্রিয়া গড়তে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ‘আরব শান্তি পরিকল্পন ‘ ও প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে গৃহীত কৌশলগত নীতিমালায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে করে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে ফিলিস্তিনের জনগন।’

২০০২ সালে ঘোষিত সৌদি আরবের ‘আরব শান্তি পরিকল্পনা’ মতে, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়তে ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের পর থেকে দখলকৃত অঞ্চল ছাড়তে হবে।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট ২০২০) ইসরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাতের স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরির জন্য শান্তি চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তির পর প্রথম বারের মতো সৌদির পক্ষ থেকে কথা বলা হয়। ইরান, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ এ চুক্তির প্রতিবাদ করলেও মিশর, ওমান ও বাহরাইন এ চুক্তিকে স্বাগত জানায়।

সূত্র: আরব নিউজ