ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশের ৪৯ বছর পূর্তি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
  • / 109

৭১: মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের বন্ধুরা নানাভাবে সহায়তা করেছেন। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তারা অবদান রেখেছেন বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য। তাদের অবদানের স্মারক সংগ্রহ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তা তুলে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। ঐতিহাসিক “দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” এর ৪৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আহবান জানান।
মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুদের নিয়ে কাজ করা নিউইয়র্কে গড়ে ওঠা সংগঠন “ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম” এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। করোনা মহামারীর কারণে এবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয় সংগঠনটি।
গতবছর কনসার্ট ফর বাংলাদেশের বর্ষপূর্তিতে নিউইয়র্কে জমজমাট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এবারো তেমনটি পরিকল্পনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ১ আগস্ট, শনিবার, রাত ১০টায় অনুষ্ঠানটি ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম, এফবি টিভিসহ কয়েকটি ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম এর প্রধান সমন্বয়কারী শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় এবারের আয়োজনে অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের অধ্যাপক হায়দার এ খান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর, বিশিষ্ট অভিনেত্রী লুৎফুন নাহার লতা এবং কনসার্ট ফর বাংলাদেশে সরোদ বাজানো ওস্তাদ আলী আকবর খানের নাতি মোর্শেদ খান অপু।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তা দেয়ার জন্য নিউইয়র্কের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে যে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল, তা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট রোববার জগৎসেরা বিটলস ব্যান্ড খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন ও সেতারবাদক পণ্ডিত রবি শংকরের উদ্যোগে সেই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে বব ডিলনসহ পৃথিবী সেরা শিল্পীরা অংশ নিয়েছিলেন। দুটি বেনিফিট কনসার্টে দর্শক হয়েছিল ৪০ হাজারেরও বেশি। সেখান থেকে পাওয়া অর্থ ইউনিসেফের মাধ্যমে খরচ করা হয়েছিল বাংলাদেশের উদ্বাস্তু মানুষের জন্য।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন রথীন্দ্রনাথ রায়। তিনি এসময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী ভারতও সেইসময় যে সহায়তা দিয়েছিল, তার তুলনা হয় না। একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আমি মনে করি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রও আসলে মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টর। আনুষ্ঠানিকভাবে যদি সেই স্বীকৃতি আসে খুব ভালো লাগবে আমার”।

Tag :

শেয়ার করুন

দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশের ৪৯ বছর পূর্তি

আপডেট টাইম : ০৪:১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০

৭১: মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের বন্ধুরা নানাভাবে সহায়তা করেছেন। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তারা অবদান রেখেছেন বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য। তাদের অবদানের স্মারক সংগ্রহ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তা তুলে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। ঐতিহাসিক “দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” এর ৪৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আহবান জানান।
মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুদের নিয়ে কাজ করা নিউইয়র্কে গড়ে ওঠা সংগঠন “ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম” এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। করোনা মহামারীর কারণে এবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয় সংগঠনটি।
গতবছর কনসার্ট ফর বাংলাদেশের বর্ষপূর্তিতে নিউইয়র্কে জমজমাট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এবারো তেমনটি পরিকল্পনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ১ আগস্ট, শনিবার, রাত ১০টায় অনুষ্ঠানটি ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম, এফবি টিভিসহ কয়েকটি ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম এর প্রধান সমন্বয়কারী শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় এবারের আয়োজনে অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের অধ্যাপক হায়দার এ খান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর, বিশিষ্ট অভিনেত্রী লুৎফুন নাহার লতা এবং কনসার্ট ফর বাংলাদেশে সরোদ বাজানো ওস্তাদ আলী আকবর খানের নাতি মোর্শেদ খান অপু।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তা দেয়ার জন্য নিউইয়র্কের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে যে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল, তা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট রোববার জগৎসেরা বিটলস ব্যান্ড খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন ও সেতারবাদক পণ্ডিত রবি শংকরের উদ্যোগে সেই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে বব ডিলনসহ পৃথিবী সেরা শিল্পীরা অংশ নিয়েছিলেন। দুটি বেনিফিট কনসার্টে দর্শক হয়েছিল ৪০ হাজারেরও বেশি। সেখান থেকে পাওয়া অর্থ ইউনিসেফের মাধ্যমে খরচ করা হয়েছিল বাংলাদেশের উদ্বাস্তু মানুষের জন্য।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন রথীন্দ্রনাথ রায়। তিনি এসময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী ভারতও সেইসময় যে সহায়তা দিয়েছিল, তার তুলনা হয় না। একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আমি মনে করি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রও আসলে মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টর। আনুষ্ঠানিকভাবে যদি সেই স্বীকৃতি আসে খুব ভালো লাগবে আমার”।