ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে কম দামে মিলছে কোরবানির পশু

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • / 118

৭১: সাধারণ পশুর হাট থেকে অনলাইনে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। ডিএনসিসি’র ডিজিটাল হাটসহ প্রায় অর্ধশতাধিক অনলাইন সাইট থেকে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির গরু।

অনলাইনে পশু বিক্রি আগে শুরু হলেও ক্রেতাদের অনলাইন হাট থেকে পশু কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে গত দু’দিন ধরে বিশেষ করে রাজধানীর গরুহাটগুলো চালু হওয়ার পর। যখনি ক্রেতারা হাটে গিয়ে এবং অনলাইন ভিজিট করে গরুর দামের পার্থক্য দেখছে তখনি প্রচুর ক্রেতা সমাগম ও বিক্রি বেড়ে গেছে অনলাইনে।

ধারণা করা হচ্ছিল, ঢাকার গরুর হাটগুলো শুরু হলে অনলাইনে বেচাকেনা কমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ হাটের চেয়ে ই-কমার্স শপগুলোতে দাম কম বিধায় হাট চালু হওয়ার পর ই-কমার্স শপগুলোর বেচাকেনা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘আমরা আসলে ক্রেতাদের সামর্থ্যরে কথা বিবেচনা করে গরু সংগ্রহে জোর দিয়েছি। আমাদের যারা খামারি ও উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদের আমরা একটি মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এ মূল্যসীমা সারা দেশে পশুর বাজারের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। এ মূল্যসীমার কারণে এবারে গরুর দাম বাড়াতে পারবে না অন্যরা’।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ গরুই ডিজিটাল স্কেলে ওজন মাপা। যেসব গরু বাইরে থেকে আসবে তাদের গরুগুলো ঈদের আগের দিন ওজন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সুতরাং এখানে কোনো প্রতারণার সুযোগ নেই। ডিএনসিসি’র ডিজিটাল হাট ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে’।

গ্রামীণফ্রেন্ডসের সিইও জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা লাইভ ওয়েটের ওপর ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকার মধ্যে আমাদের গরুগুলো রয়েছে। এর মধ্যে কোনো হাসিল নেই। এমনকি আমরা হোম-ডেলিভারির দায়িত্ব নিয়েছি। ডিজিটাল হাটের ইনভয়েসে গরুর ছবি দেয়া রয়েছে। ক্রেতারা গরু ডেলিভারি নেয়ার সময় অবশ্যই সব তথ্য মিলিয়ে নিতে পারবেন। অনলাইন হাট হলেও ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। ক্রেতারা একবার এখান থেকে গরু কিনলে বারবার কিনবেন’।

বিডিসেলের নির্বাহী জনাব শহীদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অনলাইনে দেয়ার জন্য কিছু পশুর ছবি তুলতে হাটে গিয়েছিলাম। রাজধানীর কয়েকটা হাট দেখে আমরা অনলাইনে আপলোড করার জন্য গরু পাইনি। কারণ সেগুলোর দাম অনলাইনের গরুর তুলনায় অনেক বেশি’।

গরুহাট ডটকমের প্রধান নির্বাহী জনাব মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে গরু কিনছি। ফলে একদিকে কৃষক উপকৃত হচ্ছে অন্যদিকে ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যে সেরা গরু পাচ্ছে। উপরন্তু, অনলাইনে হাসিল না থাকার কারণে ক্রেতারা আরও বেশি উৎসাহিত হচ্ছে। করোনার ব্যাপার তো আছেই’।

অনলাইনে কোরবানির পশুর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে স্লটারিং সেবা। ডিএনসিসি ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ডিজিটাল হাটে পাওয়া যাচ্ছে এ সেবা। এর মধ্যে রয়েছে- গরুর স্বাস্থ্য ও ওজন পরীক্ষা, ইসলামি বিধান অনুযায়ী গরু জবাই, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাংসকাটা, গরুর ভুঁড়ি পরিষ্কার, মাংস, পায়া, কলিজা ও মগজ ইত্যাদি ৪ কেজির নিরাপদ প্যাকে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাসায় পৌঁছে দেয়া। এতে অন্যান্য সহযোগিতায় রয়েছে আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন।

ডিএনসিসি’র ডিজিটাল হাটের সঙ্গে দেশের আরও প্রায় ৪০টিরও বেশি অনলাইন শপ যুক্ত রয়েছে এবারের কোরবানির পশু বিক্রির জন্য।

Tag :

শেয়ার করুন

অনলাইনে কম দামে মিলছে কোরবানির পশু

আপডেট টাইম : ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

৭১: সাধারণ পশুর হাট থেকে অনলাইনে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। ডিএনসিসি’র ডিজিটাল হাটসহ প্রায় অর্ধশতাধিক অনলাইন সাইট থেকে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির গরু।

অনলাইনে পশু বিক্রি আগে শুরু হলেও ক্রেতাদের অনলাইন হাট থেকে পশু কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে গত দু’দিন ধরে বিশেষ করে রাজধানীর গরুহাটগুলো চালু হওয়ার পর। যখনি ক্রেতারা হাটে গিয়ে এবং অনলাইন ভিজিট করে গরুর দামের পার্থক্য দেখছে তখনি প্রচুর ক্রেতা সমাগম ও বিক্রি বেড়ে গেছে অনলাইনে।

ধারণা করা হচ্ছিল, ঢাকার গরুর হাটগুলো শুরু হলে অনলাইনে বেচাকেনা কমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ হাটের চেয়ে ই-কমার্স শপগুলোতে দাম কম বিধায় হাট চালু হওয়ার পর ই-কমার্স শপগুলোর বেচাকেনা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘আমরা আসলে ক্রেতাদের সামর্থ্যরে কথা বিবেচনা করে গরু সংগ্রহে জোর দিয়েছি। আমাদের যারা খামারি ও উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদের আমরা একটি মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এ মূল্যসীমা সারা দেশে পশুর বাজারের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। এ মূল্যসীমার কারণে এবারে গরুর দাম বাড়াতে পারবে না অন্যরা’।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ গরুই ডিজিটাল স্কেলে ওজন মাপা। যেসব গরু বাইরে থেকে আসবে তাদের গরুগুলো ঈদের আগের দিন ওজন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সুতরাং এখানে কোনো প্রতারণার সুযোগ নেই। ডিএনসিসি’র ডিজিটাল হাট ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে’।

গ্রামীণফ্রেন্ডসের সিইও জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা লাইভ ওয়েটের ওপর ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকার মধ্যে আমাদের গরুগুলো রয়েছে। এর মধ্যে কোনো হাসিল নেই। এমনকি আমরা হোম-ডেলিভারির দায়িত্ব নিয়েছি। ডিজিটাল হাটের ইনভয়েসে গরুর ছবি দেয়া রয়েছে। ক্রেতারা গরু ডেলিভারি নেয়ার সময় অবশ্যই সব তথ্য মিলিয়ে নিতে পারবেন। অনলাইন হাট হলেও ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। ক্রেতারা একবার এখান থেকে গরু কিনলে বারবার কিনবেন’।

বিডিসেলের নির্বাহী জনাব শহীদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অনলাইনে দেয়ার জন্য কিছু পশুর ছবি তুলতে হাটে গিয়েছিলাম। রাজধানীর কয়েকটা হাট দেখে আমরা অনলাইনে আপলোড করার জন্য গরু পাইনি। কারণ সেগুলোর দাম অনলাইনের গরুর তুলনায় অনেক বেশি’।

গরুহাট ডটকমের প্রধান নির্বাহী জনাব মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে গরু কিনছি। ফলে একদিকে কৃষক উপকৃত হচ্ছে অন্যদিকে ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যে সেরা গরু পাচ্ছে। উপরন্তু, অনলাইনে হাসিল না থাকার কারণে ক্রেতারা আরও বেশি উৎসাহিত হচ্ছে। করোনার ব্যাপার তো আছেই’।

অনলাইনে কোরবানির পশুর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে স্লটারিং সেবা। ডিএনসিসি ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ডিজিটাল হাটে পাওয়া যাচ্ছে এ সেবা। এর মধ্যে রয়েছে- গরুর স্বাস্থ্য ও ওজন পরীক্ষা, ইসলামি বিধান অনুযায়ী গরু জবাই, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাংসকাটা, গরুর ভুঁড়ি পরিষ্কার, মাংস, পায়া, কলিজা ও মগজ ইত্যাদি ৪ কেজির নিরাপদ প্যাকে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাসায় পৌঁছে দেয়া। এতে অন্যান্য সহযোগিতায় রয়েছে আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন।

ডিএনসিসি’র ডিজিটাল হাটের সঙ্গে দেশের আরও প্রায় ৪০টিরও বেশি অনলাইন শপ যুক্ত রয়েছে এবারের কোরবানির পশু বিক্রির জন্য।