ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরপুরে মুশফিকদের অনুশীলন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
  • / 128

৭১: হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফিরেছে যেন কোলাহল। হোক না তিনজনের অনুশীলন এতেই যে বিশাল স্বস্তি। বিসিবি’র দেয়া স্বত্ত্ব মতে গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট অনুশীলন শুরু করেছে মুশফিকুর রহিমরা। এদিন মাত্র তিনজন ক্রিকেটার অনুশীলন করেন, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন ও শফিউল ইসলাম। আজ অনুশীলনে যোগ দিবেন আরেক ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। তামিম, রিয়াদ আর মুমিনুলরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তারা ঘরেই ফিজিক্যাল ট্রেনিং করবেন।

প্রথমদিনের অনুশীলনে ৩ ক্রিকেটার হলেও মিডিয়া লোকজনে কমতি ছিল না। ক্রিকেটারের চেয়ে কয়েকগুন বেশি ছিল ক্রিকেট কাভার করতে আসা মিডিয়া কর্মী। তাতেই যেন বিশাল এক কোলাহল। মিরপুরে ঢুকতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার,মিডিয়ার জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা সবই ছিল প্রস্তুত। একাডেমি মাঠের পূর্ব দিকে নেটের বাইরের লনে দাঁড়িয়ে মিডিয়া কর্মীরা পরখ করেছেন মুশফিক মিঠুন আর শফিউল ইসলামের অনুশীলন। 

এদিন দেশের চার ভেন্যুতে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছেন মোট ৯ ক্রিকেটার। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ তিন ক্রিকেটার ছাড়াও দেশের অন্যান্য ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় এই ক্যাম্প।

সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান সংলগ্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন পেসার খালেদ আহমেদ এবং বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান এবং অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও চট্টগ্রামে বৃষ্টির কারণে মাঠেই নামতে পারেননি স্পিনার নাঈম হাসান। ক্রিকেটারদের পীড়াপীড়িতেই বিসিবি করোনাকালেও এই আয়োজনে বাধ্য হয়। তবে এদিন অনুশীলনে সবার দৃস্টি ছিল মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের দিকে। তিনি ঠিক হাজির হন সকালে ঘড়ির কাঁটা ৯টা বাজার আগেই। সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।

মুশফিক এসে একাডেমি মাঠের সবুজ চত্বরে প্রায় আধঘন্টা রানিং ও স্ট্রেচিং করে তারপর সারলেন ইনডোরে ব্যাটিং প্র্যাকটিস। আর মিঠুন সরাসরি সকাল নয়টায় এসেই নেমে যান ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনে। তবে পেসার শফিউল ইসলাম আসলেন সকাল ১১টায়। মোদ্দা কথা, এই তিনজনের কারও সাথে কারও দেখা নেই।

এক সঙ্গে রানিং, ব্যাটিং কিংবা বোলিং প্র্যাকটিসও করেননি। প্রত্যেকের প্র্যাকটিস শিডিউল আলাদা। সময়সূচি ও ধরন আগে থেকেই ঠিক করা। একজন যখন রানিং করবেন, অন্যজন তখন ব্যাটিংয়ে থাকবেন। এভাবেই যাতে তাদের একসঙ্গে হতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে শিডিউল করা হয়েছে। এদিকে শুরুতে বলা হয়েছিল, শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিং আর জিমওয়ার্ক করা যাবে। তবে শেষ মুহূর্তে সেখান থেকে সরে এসেছে ক্রিকেট অপারেশন্স। শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটে কিংবা একাডেমি মাঠের নেটে নয়, ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আর রানিংটা করতে হবে একাডেমি মাঠে। এ নিয়ে প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। বিসিবি অনুশীলন ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি সব কিছুই গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তার প্রমাণ পাওয়া যায় সময়সূচি লক্ষ্য করলেই। প্রত্যেক ক্রিকেটারের অনুশীলন শেষে ন্যূনতম ২০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে জীবাণুনাশক কার্যক্রম চালানোর জন্য।’‘একটু কঠিন মনে হচ্ছে’ ( মিঠুন)
ঘরবন্দি দশা হঠাৎ আলোর মুখ দেখা একজন মানুষের কাছে গোটা পৃথিবীটাই অচেনা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। আশ-পাশের পরিবেশকে মানিয়ে নিতে তখন কিছুটা লেগে যায়। ঠিক যেন তার ব্যতিক্রম ঘটেনি ক্রিকেটার মিঠুনের। মিরপুর হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুশীলন করতে গিয়ে এদিন মিডিয়ার সঙ্গে কথা হয়নি ক্রিকেটারের। এটা বিসিবি’র নির্দেশ ছিল। তবে ভিডিও বার্তায় মিঠুন জানিয়েছেন করোনাকালে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ চার মাস পরে আজ মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। তো ব্যাটিং, রানিং সবই একটু কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ এতদিন আমরা ইনডোরে ফিট থাকার অনুশীলন করেছি, এখন বাইরে এসে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে।

Tag :

শেয়ার করুন

মিরপুরে মুশফিকদের অনুশীলন

আপডেট টাইম : ০৫:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০

৭১: হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফিরেছে যেন কোলাহল। হোক না তিনজনের অনুশীলন এতেই যে বিশাল স্বস্তি। বিসিবি’র দেয়া স্বত্ত্ব মতে গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট অনুশীলন শুরু করেছে মুশফিকুর রহিমরা। এদিন মাত্র তিনজন ক্রিকেটার অনুশীলন করেন, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন ও শফিউল ইসলাম। আজ অনুশীলনে যোগ দিবেন আরেক ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। তামিম, রিয়াদ আর মুমিনুলরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তারা ঘরেই ফিজিক্যাল ট্রেনিং করবেন।

প্রথমদিনের অনুশীলনে ৩ ক্রিকেটার হলেও মিডিয়া লোকজনে কমতি ছিল না। ক্রিকেটারের চেয়ে কয়েকগুন বেশি ছিল ক্রিকেট কাভার করতে আসা মিডিয়া কর্মী। তাতেই যেন বিশাল এক কোলাহল। মিরপুরে ঢুকতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার,মিডিয়ার জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা সবই ছিল প্রস্তুত। একাডেমি মাঠের পূর্ব দিকে নেটের বাইরের লনে দাঁড়িয়ে মিডিয়া কর্মীরা পরখ করেছেন মুশফিক মিঠুন আর শফিউল ইসলামের অনুশীলন। 

এদিন দেশের চার ভেন্যুতে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছেন মোট ৯ ক্রিকেটার। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ তিন ক্রিকেটার ছাড়াও দেশের অন্যান্য ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় এই ক্যাম্প।

সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান সংলগ্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন পেসার খালেদ আহমেদ এবং বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান এবং অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও চট্টগ্রামে বৃষ্টির কারণে মাঠেই নামতে পারেননি স্পিনার নাঈম হাসান। ক্রিকেটারদের পীড়াপীড়িতেই বিসিবি করোনাকালেও এই আয়োজনে বাধ্য হয়। তবে এদিন অনুশীলনে সবার দৃস্টি ছিল মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের দিকে। তিনি ঠিক হাজির হন সকালে ঘড়ির কাঁটা ৯টা বাজার আগেই। সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।

মুশফিক এসে একাডেমি মাঠের সবুজ চত্বরে প্রায় আধঘন্টা রানিং ও স্ট্রেচিং করে তারপর সারলেন ইনডোরে ব্যাটিং প্র্যাকটিস। আর মিঠুন সরাসরি সকাল নয়টায় এসেই নেমে যান ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনে। তবে পেসার শফিউল ইসলাম আসলেন সকাল ১১টায়। মোদ্দা কথা, এই তিনজনের কারও সাথে কারও দেখা নেই।

এক সঙ্গে রানিং, ব্যাটিং কিংবা বোলিং প্র্যাকটিসও করেননি। প্রত্যেকের প্র্যাকটিস শিডিউল আলাদা। সময়সূচি ও ধরন আগে থেকেই ঠিক করা। একজন যখন রানিং করবেন, অন্যজন তখন ব্যাটিংয়ে থাকবেন। এভাবেই যাতে তাদের একসঙ্গে হতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে শিডিউল করা হয়েছে। এদিকে শুরুতে বলা হয়েছিল, শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিং আর জিমওয়ার্ক করা যাবে। তবে শেষ মুহূর্তে সেখান থেকে সরে এসেছে ক্রিকেট অপারেশন্স। শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটে কিংবা একাডেমি মাঠের নেটে নয়, ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আর রানিংটা করতে হবে একাডেমি মাঠে। এ নিয়ে প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। বিসিবি অনুশীলন ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি সব কিছুই গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তার প্রমাণ পাওয়া যায় সময়সূচি লক্ষ্য করলেই। প্রত্যেক ক্রিকেটারের অনুশীলন শেষে ন্যূনতম ২০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে জীবাণুনাশক কার্যক্রম চালানোর জন্য।’‘একটু কঠিন মনে হচ্ছে’ ( মিঠুন)
ঘরবন্দি দশা হঠাৎ আলোর মুখ দেখা একজন মানুষের কাছে গোটা পৃথিবীটাই অচেনা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। আশ-পাশের পরিবেশকে মানিয়ে নিতে তখন কিছুটা লেগে যায়। ঠিক যেন তার ব্যতিক্রম ঘটেনি ক্রিকেটার মিঠুনের। মিরপুর হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুশীলন করতে গিয়ে এদিন মিডিয়ার সঙ্গে কথা হয়নি ক্রিকেটারের। এটা বিসিবি’র নির্দেশ ছিল। তবে ভিডিও বার্তায় মিঠুন জানিয়েছেন করোনাকালে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ চার মাস পরে আজ মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। তো ব্যাটিং, রানিং সবই একটু কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ এতদিন আমরা ইনডোরে ফিট থাকার অনুশীলন করেছি, এখন বাইরে এসে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে।