ঈদে অতি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি থামানো যাবে না: কাদের
- আপডেট টাইম : ০৪:২২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
- / 112
৭১: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঈদযাত্রায় জ্বালানি সংগ্রহ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি থামানো যাবে না।
একই সঙ্গে যেসব পরিবহন মালিক-সমিতি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ও যাত্রী স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে তাদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
সোমবার (২০ জুলাই) কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে এ সভা হয়।
সভায় সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের তিনদিন আগে থেকে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সার্ভিস ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
এ সময় কাদের ঈদের আগে ও পরে সিএনজি স্টেশনগুলো খোলা রাখতে জ্বালানি বিভাগকেও অনুরোধ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে কোরবানির পশু পরিবহন বন্ধ করতে হবে। সড়ক ও মহাসড়কের উপর এবং পাশে কোনোভাবেই পশুরহাট বসানো যাবে না।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি, টার্মিনাল প্রতিনিধি, বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশনসহ সব অংশীজনদের নিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কার্যকর ভূমিকা পালন আহ্বান জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট সার্বক্ষণিক মনিটর করবে। কোনো ধরনের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি টিপ শেষে গাড়ির ভেতর ও বাহিরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
ঈদকে কেন্দ্র করে করোনার ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিএ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঈদ যাত্রায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণ আশংকা রোধে কাজ করতে হবে। সবাই একযোগে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করলে ঈদে করোনার ঝুঁকি থেকে জনগণকে সুরক্ষা দেয়া সম্ভব।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গা, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এসছানে এলাহিসহ পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতারা।