ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূর্বপরিচিত ছিলেন সাবরিনা-সাহেদ, করতেন মাস্তিও!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
  • / 125

৭১: জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

জানা গেছে, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের সঙ্গে আগে থেকেই ঘনিষ্ঠতা ছিল সাবরিনার। এমনকি ডিজে পার্টিতে তারা দুজনই একসঙ্গে মাস্তিও করেছেন।

রোববার (১৯ জুলাই) একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ এবং জেকেজির ডা. সাবরিনাকে মুখোমুখি করা হয়েছিল। ওইসময় তারা দুজনই ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছেন। নিয়মিত তারা ডিজে পার্টিতে অংশ নিতেন। সেসব পার্টিতে চলতো মাদক সেবনসহ নানা কারবার।

তারা এতটাই ঘনিষ্ঠ ছিলেন যে, করোনা সনদ জালিয়াতির আইডিয়াটাও সাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডা. সাবরিনা।

জানা গেছে, রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুরের কনফিডেন্স টাওয়ারে জেকেজি তথা ওভাল গ্রুপের অফিসটিতে আরিফ-সাবরিনা দম্পতি গড়ে তোলেন মধ্যরাতের বালাখানা। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই সেখানে জমতো ডিজে পার্টি। নারীপুরুষ মেলামেশার পাশাপাশি অবাধে চলতো মাদক আর ইয়াবা।

কনফিডেন্স টাওয়ারের একাধিক কর্মী জানান, গভীর রাতে বাসায় ফেরার জন্য গাড়িতে ওঠার সময় ডা. সাবরিনাকে তারা দেখেছেন মাতাল অবস্থায়। এমনকি মাঝেমধ্যে তিনি টাল হয়ে অচেতন অবস্থায় অফিসেই রাত্রিযাপন করেছেন।

ওই টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, একাধিকবার টাওয়ারের কার পার্কিং এলাকায় স্যার (আরিফ) ও ম্যাডামকে (সাবরিনা) তারা ঝগড়া করতে দেখেছেন। এসময় এই দম্পতিকে পরস্পরের প্রতি অশ্লীল ও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করতেও শুনেছেন। একসঙ্গে একাধিক এক্সট্রা ম্যারিটিয়াল এফেয়ারে ছিলেন ডা. সাবরিনা।

অপরদিকে জেকেজির এক কর্মীকে অশালীন প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় গুলশান থানায় আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

Tag :

শেয়ার করুন

পূর্বপরিচিত ছিলেন সাবরিনা-সাহেদ, করতেন মাস্তিও!

আপডেট টাইম : ০৪:২০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০

৭১: জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

জানা গেছে, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের সঙ্গে আগে থেকেই ঘনিষ্ঠতা ছিল সাবরিনার। এমনকি ডিজে পার্টিতে তারা দুজনই একসঙ্গে মাস্তিও করেছেন।

রোববার (১৯ জুলাই) একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ এবং জেকেজির ডা. সাবরিনাকে মুখোমুখি করা হয়েছিল। ওইসময় তারা দুজনই ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছেন। নিয়মিত তারা ডিজে পার্টিতে অংশ নিতেন। সেসব পার্টিতে চলতো মাদক সেবনসহ নানা কারবার।

তারা এতটাই ঘনিষ্ঠ ছিলেন যে, করোনা সনদ জালিয়াতির আইডিয়াটাও সাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডা. সাবরিনা।

জানা গেছে, রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুরের কনফিডেন্স টাওয়ারে জেকেজি তথা ওভাল গ্রুপের অফিসটিতে আরিফ-সাবরিনা দম্পতি গড়ে তোলেন মধ্যরাতের বালাখানা। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই সেখানে জমতো ডিজে পার্টি। নারীপুরুষ মেলামেশার পাশাপাশি অবাধে চলতো মাদক আর ইয়াবা।

কনফিডেন্স টাওয়ারের একাধিক কর্মী জানান, গভীর রাতে বাসায় ফেরার জন্য গাড়িতে ওঠার সময় ডা. সাবরিনাকে তারা দেখেছেন মাতাল অবস্থায়। এমনকি মাঝেমধ্যে তিনি টাল হয়ে অচেতন অবস্থায় অফিসেই রাত্রিযাপন করেছেন।

ওই টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, একাধিকবার টাওয়ারের কার পার্কিং এলাকায় স্যার (আরিফ) ও ম্যাডামকে (সাবরিনা) তারা ঝগড়া করতে দেখেছেন। এসময় এই দম্পতিকে পরস্পরের প্রতি অশ্লীল ও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করতেও শুনেছেন। একসঙ্গে একাধিক এক্সট্রা ম্যারিটিয়াল এফেয়ারে ছিলেন ডা. সাবরিনা।

অপরদিকে জেকেজির এক কর্মীকে অশালীন প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় গুলশান থানায় আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।