রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯
- / 133
রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিএনপি চায় না রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাক। তাদের বক্তব্যেই সেটি প্রকাশ পাচ্ছে।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশলাইনসে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ আলোচনাসভার আয়োজন করে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার দলের নেতারা যেভাবে রোহিঙ্গা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন, তাদের কথাবার্তায় মনে হয় রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাক এটি তারা চান না। রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করাই তাদের উদ্দেশ্য।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার সঠিক পথেই হাঁটছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ যে পথে হাঁটছে, সেটিই সঠিক পথ। কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করবে।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফেরার সময় ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে বলেছিলেন- মিসেস গান্ধী আপনার সৈন্য কখন ফেরত নেবেন। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী রাজনৈতিক চিন্তার কারণে সেদিন তিন মাসের মাথায় ভারতীয় সৈন্য ফেরত গিয়েছিল।
বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন শুধু কবিতায় কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায়, বাস্তবে পাওয়া যায় না। ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ পাওয়া যায় না। একসময় আমরা পুরনো কাপড় বিদেশ থেকে আমদানি করে এনে পরতাম আর এখন আমরা বিদেশে নতুন কাপড় রফতানি করি। সব কিছু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ও সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। সিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) দেবদূত মজুমদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপকমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ।