কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘খোকাবাবু’
- আপডেট টাইম : ০৪:২৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০
- / 107
৭১: আর কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের খামারিরাও প্রস্তুত তাদের গরু নিয়ে। এবার কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে নাগরপুরের ‘খোকাবাবু’। কালো সাদার মিশেল রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ষঁড়াটিকে আদর করে নাম দেওয়া হয়েছে খোকাবাবু। খোকাবাবু খুবই শান্তশিষ্ট একটি ষাঁড়। টাঙ্গাইলের নাগরপুরের নঙ্গীনা বাড়ির মো. আবুল কাশেম মিয়ার আদর যতেœ পালিত এটি। ষাঁড়টি রোগমুক্ত, ওজন প্রায় ২৭ মণ। খোকাবাবুকে দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে কাশেমের বাড়িতে আসছেন অনেকেই।
খামারি আবুল কাশেম বলেন, ‘গরুকে ফিট খাবার খাওয়ানোর সাধ্য আমার নেই। তাই নাগরপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ দফতরের ডা. রফিকুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন- গরুর ওজন এবং প্রয়োজন এর ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ালে খরচ ও ঝুঁকি দুইই কমবে এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদিত হবে। তার পরামর্শে গরুটিকে খাবার খায়ানো শুরু করি।
খোকাবাবুর খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে- সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, খর, ভুষি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খৈল, নালি, চাউলের কুড়া, লবণ, পরিমাণ মতো পানি। এছাড়া নিয়মিত গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা, ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত হাঁটানো, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো এ সকল বিষয় স্যারের পরামর্শেই আজ খোকাবাবুর ওজন এক টনের মতো হয়েছে।
খোকাবাবুকে মোটা তাজা করার ব্যাপারে কোনো প্রকার ওষুধ ও ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
খোকাবাবুর দামের প্রত্যাশায় কাশেম বলেন, বাজার বরাবর বিক্রি করতে হবে। আর বাজার ক্রেতা ও গরুর সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। তবে আমি ১২ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি।
আগামী ঈদেও এমন গরু নাগরপুরবাসীকে উপহার দেবে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাই তবে অবশ্যই চেষ্টা করব আরও ভাল মানের গরু উপহার দিতে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশিক সালেহীন বলেন, গরুটি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। গরুটি ফিজিয়াম জাতের। এ জাতের গরু আমাদের দেশে এখন খামারিরা পালন করছে। আমার জানা মতে, গরুটি নাগরপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ বড়।