ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাপুলের বিরুদ্ধে আমরাও তদন্ত করবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
  • / 106

৭১: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, কুয়েতে গ্রেপ্তার এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে দেশেও তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।

এসময় মানবপাচারের ঘটনায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আবদুল মোমেন বলেন, আমরা মানবপাচার ও অর্থপাচার বন্ধ করতে কত চেষ্টা চালাচ্ছি। এ সময় একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কুয়েতে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কুয়েতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের (পাপুল) বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সে দেশের সরকার আমাদের অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি।

তিনি আরও বলেন, ওই দেশের সরকার যদি আমাদের এ সাংসদের বিষয়ে জানায় তবে আমরা আমাদের দেশেও নিয়মানুয়ায়ী ব্যবস্থা নেবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে নীতি মেনে চলেন। সে যে দলেরই হোক না কেন, নিজের দলের হলেও তাকে শাস্তি পেতে হবে।

পাপুলের কুয়েতে অবস্থানের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ সাংসদ কোনো সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে সে দেশে যাননি। তিনি কুয়েতে ২৯ বছর ধরে ব্যবসা করেন, ওইখানকার কোম্পানির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এ সাংসদকে তারা সে দেশের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হলে তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের বিষয়ে তিনি বলেন, তার নিয়োগের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ মাসেই তার মেয়াদ শেষে তিনি চলে আসবেন। নতুন রাষ্ট্রদূত কে হবেন তাও আমরা চূড়ান্ত করে ফেলেছি।

Tag :

শেয়ার করুন

পাপুলের বিরুদ্ধে আমরাও তদন্ত করবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

৭১: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, কুয়েতে গ্রেপ্তার এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে দেশেও তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।

এসময় মানবপাচারের ঘটনায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আবদুল মোমেন বলেন, আমরা মানবপাচার ও অর্থপাচার বন্ধ করতে কত চেষ্টা চালাচ্ছি। এ সময় একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কুয়েতে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কুয়েতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের (পাপুল) বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সে দেশের সরকার আমাদের অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি।

তিনি আরও বলেন, ওই দেশের সরকার যদি আমাদের এ সাংসদের বিষয়ে জানায় তবে আমরা আমাদের দেশেও নিয়মানুয়ায়ী ব্যবস্থা নেবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে নীতি মেনে চলেন। সে যে দলেরই হোক না কেন, নিজের দলের হলেও তাকে শাস্তি পেতে হবে।

পাপুলের কুয়েতে অবস্থানের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ সাংসদ কোনো সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে সে দেশে যাননি। তিনি কুয়েতে ২৯ বছর ধরে ব্যবসা করেন, ওইখানকার কোম্পানির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এ সাংসদকে তারা সে দেশের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হলে তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের বিষয়ে তিনি বলেন, তার নিয়োগের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ মাসেই তার মেয়াদ শেষে তিনি চলে আসবেন। নতুন রাষ্ট্রদূত কে হবেন তাও আমরা চূড়ান্ত করে ফেলেছি।