ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৪ দিনের মধ্যেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
  • / 95

৭১: মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ফলাফল দুই সপ্তাহ তথা ১৪ দিনের মধ্যে চলে আসতে পারে। এরপর কোভিড- ১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে এই ভ্যাকসিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমনটা আশা প্রকাশ করেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাধানম গেব্রিয়াসেস জানান, বিশ্বের ৩৯টি দেশের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার করোনা রোগীর ওপরে ভ্যাকসিনের সলিডারিটি ট্রায়াল করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আশা করছি, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল পেয়ে যাবো।

কোভিড -১৯-এর সম্ভাব্য চিকিত্সায় সলিডারিটি ট্রায়ালটি পাঁচটি অংশে শুরু হয়েছিলো। স্ট্যান্ডার্ড কেয়ারে রেমডেসিভির, অ্যান্টি ম্যালেরিয়া ড্রাগ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, এইচআইভি ড্রাগ লপিনেভির বা রাইটোনেভির ও লপিনেভির বা রাইটোনেভিরের সঙ্গে ইন্টারফেরন।

চলতি মাসের শুরুতে, হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের আর্ম টেস্টিং বন্ধ করে দেয়া হয়।

গবেষণাগুলোতে জানা যায় যে, যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত সেসব রোগীদের এই ওষুধে কোনো লাভ হয়নি। তবে এটি প্রতিরোধক ওষুধ হিসেবে কার্যকরী হতে পারে কিনা সেটি দেখার জন্য আরো কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।

ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচির প্রধান মাইক রায়ান জানিয়েছেন, কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে কখন কোন ভ্যাকসিন আসবে সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়।

জেনেভায় মার্কিন সাংবাদিকদের সংগঠন এসিএএনইউ -কে তিনি বলেন, বছরের শেষের নাগাদ করোনার ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কার্যকারিতা দেখা যেতে পারে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কিভাবে খুব শিগগিরই ব্যাপক পরিমাণে উত্পাদিত হবে।

কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।

সূত্র- ইন্ডিয়া টাইমস

Tag :

শেয়ার করুন

১৪ দিনের মধ্যেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন!

আপডেট টাইম : ০২:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০

৭১: মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ফলাফল দুই সপ্তাহ তথা ১৪ দিনের মধ্যে চলে আসতে পারে। এরপর কোভিড- ১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে এই ভ্যাকসিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমনটা আশা প্রকাশ করেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাধানম গেব্রিয়াসেস জানান, বিশ্বের ৩৯টি দেশের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার করোনা রোগীর ওপরে ভ্যাকসিনের সলিডারিটি ট্রায়াল করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আশা করছি, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল পেয়ে যাবো।

কোভিড -১৯-এর সম্ভাব্য চিকিত্সায় সলিডারিটি ট্রায়ালটি পাঁচটি অংশে শুরু হয়েছিলো। স্ট্যান্ডার্ড কেয়ারে রেমডেসিভির, অ্যান্টি ম্যালেরিয়া ড্রাগ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, এইচআইভি ড্রাগ লপিনেভির বা রাইটোনেভির ও লপিনেভির বা রাইটোনেভিরের সঙ্গে ইন্টারফেরন।

চলতি মাসের শুরুতে, হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের আর্ম টেস্টিং বন্ধ করে দেয়া হয়।

গবেষণাগুলোতে জানা যায় যে, যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত সেসব রোগীদের এই ওষুধে কোনো লাভ হয়নি। তবে এটি প্রতিরোধক ওষুধ হিসেবে কার্যকরী হতে পারে কিনা সেটি দেখার জন্য আরো কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।

ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচির প্রধান মাইক রায়ান জানিয়েছেন, কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে কখন কোন ভ্যাকসিন আসবে সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়।

জেনেভায় মার্কিন সাংবাদিকদের সংগঠন এসিএএনইউ -কে তিনি বলেন, বছরের শেষের নাগাদ করোনার ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কার্যকারিতা দেখা যেতে পারে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কিভাবে খুব শিগগিরই ব্যাপক পরিমাণে উত্পাদিত হবে।

কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।

সূত্র- ইন্ডিয়া টাইমস