ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি হতে চান সাবেকদের স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনরা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০
  • / 112

৭১: জাতীয় সংসদের পাঁচ শূন্য আসনে অভিভাবক না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয় লোকজন ও ভোটাররা। করোনার মহামারীর সময়ে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন- এই শূন্য আসনের মানুষজন। তবে ওই শূন্য আসনগুলোতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে মাঠে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সংসদের শূন্য আসনগুলোতে মনোনয়ন পেতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন সাবেক সাংসদদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও আত্মীয়-স্বজনরা।

জানা যায়, গত ২৯ মার্চ যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। করোনার কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোর-৬ শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী সংবিধানে প্রদত্ত নব্বই দিন সময় পার হয়ে গেছে। দ্বৈব দুর্বিপাকজনিত নব্বই দিন বর্তমানে সিইসির হাতে আছে। অর্থাৎ আসন শূন্য হওয়ার মোট ১৮০ দিন সময়ও পার হয়ে যাবে জুলাই মাসে। এক্ষেত্রে বগুড়া-১ আসনে ১৫ জুলাই এবং যশোর-৬ আসনে ১৮ জুলাই ভোটের সময় শেষ হবে। সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুর কারণে গত ২ এপ্রিল শূন্য হয় পাবনা-৪ আসন। অন্যদিকে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে গত ১০ মে এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তার মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই আসনে ভোটের আয়োজন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নব্বই দিন সময় পার হয়ে গেছে অনেক আগেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) হাতে থাকা নব্বই দিন সময়ও শেষ হওয়ার পথে। সে সময়ও যদি শেষ হয়ে যায় তবে সৃষ্ট সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় কী করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। অন্যদিকে শূন্য আসনগুলোর অভিভাবক হতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তারা করোনার এই মহামারী সময়ে মানুষের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এবং অনেক কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

ঢাকা-৫: সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-৫ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যেও থেমে নেই তাদের তৎপরতা। অনেকেই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। ছবি সংবলিত পাড়া-মহল্লায় পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের। কেউ কেউ আবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা করছেন।অন্যদিকে এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আমলনামা নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কাজ করছেন। ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও শহীদ শেখ কামালের স্ত্রী শহীদ সুলতানা কামালের ভাতিজি নেহরীন মোস্তফা দিশি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না। পারিবারিক ঐতিহ্য, রাজনৈতিক অবস্থান ও আপদে-বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে দল থেকে বাবার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে এমনটি প্রত্যাশা করেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। আওয়ামী লীগের সভাপতির উপর সবকিছু নির্ভর করছেন বলেও জানান তিনি। ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, দলের দুঃসময়ে বিভিন্ন সময়ে নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামি হয়ে জেলে যেতে হয়। নেত্রীর তরুণ নেতৃত্বের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের বিষয়ে তিনি নিজেকে যোগ্য বলে মনে করেন।

সিরাজগঞ্জ-১: মোহাম্মদ নাসিমপুত্র ও সাবেক এমপি তানভির শাকিল জয় সিরাজগঞ্জ -১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জোর আলোচনা উঠেছে। সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম। নবম সংসদ নির্বাচনে আইনি জটিলতার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তার পরিবর্তে নাসিমপুত্র তানভির শাকিল জয় এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

যশোর-৬: ২১ জানুয়ারি সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যু হলে ২৮ জানুয়ারি সংসদের স্পিকার যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার।

বগুড়া-১: এই আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মরহুম আব্দুল মান্নান এমপির স্ত্রী সাহাদারা মান্নান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

পাবনা-৪: পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ভ‚মিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর মৃত্যুর পর শূন্য আসনটিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে কাজ শুরু করেছেন প্রায় অর্ধ ডজন আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল আলিম, আইনজীবী সৈয়দ আলী জিরু, সাবেক এমপি পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম, ডিলু পরিবারের সদস্য তার দুই ছেলে কনক শরীফ এবং গালিবুর শরীফ, মেয়ে মেহজাবিন শরিফ পিয়া, মেয়ের জামাই ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, ডিলুর স্ত্রী কামরুন্নাহার শরীফ প্রমুখসহ ডজনখানেক নেতা মাঠে কাজ করছেন।

ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, যে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে এসব নির্বাচনে নতুন কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। নির্বাচন স্থগিত করায় আইনি জটিলতা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানে সংসদ নির্বাচন মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে করার বিধান আছে। তবে দৈবদুর্বিপাক হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার ক্ষমতা সিইসিকে দেয়া আছে। সবমিলে ১৮০ দিন বা ৬ মাস সময় পাব। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যে সকল আসন শূন্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে যখনই তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে আমরা প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করব।

Tag :

শেয়ার করুন

এমপি হতে চান সাবেকদের স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনরা

আপডেট টাইম : ০৫:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০

৭১: জাতীয় সংসদের পাঁচ শূন্য আসনে অভিভাবক না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয় লোকজন ও ভোটাররা। করোনার মহামারীর সময়ে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন- এই শূন্য আসনের মানুষজন। তবে ওই শূন্য আসনগুলোতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে মাঠে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সংসদের শূন্য আসনগুলোতে মনোনয়ন পেতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন সাবেক সাংসদদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও আত্মীয়-স্বজনরা।

জানা যায়, গত ২৯ মার্চ যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। করোনার কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোর-৬ শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী সংবিধানে প্রদত্ত নব্বই দিন সময় পার হয়ে গেছে। দ্বৈব দুর্বিপাকজনিত নব্বই দিন বর্তমানে সিইসির হাতে আছে। অর্থাৎ আসন শূন্য হওয়ার মোট ১৮০ দিন সময়ও পার হয়ে যাবে জুলাই মাসে। এক্ষেত্রে বগুড়া-১ আসনে ১৫ জুলাই এবং যশোর-৬ আসনে ১৮ জুলাই ভোটের সময় শেষ হবে। সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুর কারণে গত ২ এপ্রিল শূন্য হয় পাবনা-৪ আসন। অন্যদিকে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে গত ১০ মে এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তার মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই আসনে ভোটের আয়োজন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নব্বই দিন সময় পার হয়ে গেছে অনেক আগেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) হাতে থাকা নব্বই দিন সময়ও শেষ হওয়ার পথে। সে সময়ও যদি শেষ হয়ে যায় তবে সৃষ্ট সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় কী করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। অন্যদিকে শূন্য আসনগুলোর অভিভাবক হতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তারা করোনার এই মহামারী সময়ে মানুষের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এবং অনেক কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

ঢাকা-৫: সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-৫ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যেও থেমে নেই তাদের তৎপরতা। অনেকেই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। ছবি সংবলিত পাড়া-মহল্লায় পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের। কেউ কেউ আবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা করছেন।অন্যদিকে এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আমলনামা নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কাজ করছেন। ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও শহীদ শেখ কামালের স্ত্রী শহীদ সুলতানা কামালের ভাতিজি নেহরীন মোস্তফা দিশি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না। পারিবারিক ঐতিহ্য, রাজনৈতিক অবস্থান ও আপদে-বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে দল থেকে বাবার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে এমনটি প্রত্যাশা করেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। আওয়ামী লীগের সভাপতির উপর সবকিছু নির্ভর করছেন বলেও জানান তিনি। ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, দলের দুঃসময়ে বিভিন্ন সময়ে নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামি হয়ে জেলে যেতে হয়। নেত্রীর তরুণ নেতৃত্বের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের বিষয়ে তিনি নিজেকে যোগ্য বলে মনে করেন।

সিরাজগঞ্জ-১: মোহাম্মদ নাসিমপুত্র ও সাবেক এমপি তানভির শাকিল জয় সিরাজগঞ্জ -১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জোর আলোচনা উঠেছে। সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম। নবম সংসদ নির্বাচনে আইনি জটিলতার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তার পরিবর্তে নাসিমপুত্র তানভির শাকিল জয় এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

যশোর-৬: ২১ জানুয়ারি সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যু হলে ২৮ জানুয়ারি সংসদের স্পিকার যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার।

বগুড়া-১: এই আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মরহুম আব্দুল মান্নান এমপির স্ত্রী সাহাদারা মান্নান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

পাবনা-৪: পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ভ‚মিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর মৃত্যুর পর শূন্য আসনটিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে কাজ শুরু করেছেন প্রায় অর্ধ ডজন আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল আলিম, আইনজীবী সৈয়দ আলী জিরু, সাবেক এমপি পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম, ডিলু পরিবারের সদস্য তার দুই ছেলে কনক শরীফ এবং গালিবুর শরীফ, মেয়ে মেহজাবিন শরিফ পিয়া, মেয়ের জামাই ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, ডিলুর স্ত্রী কামরুন্নাহার শরীফ প্রমুখসহ ডজনখানেক নেতা মাঠে কাজ করছেন।

ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, যে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে এসব নির্বাচনে নতুন কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। নির্বাচন স্থগিত করায় আইনি জটিলতা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানে সংসদ নির্বাচন মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে করার বিধান আছে। তবে দৈবদুর্বিপাক হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার ক্ষমতা সিইসিকে দেয়া আছে। সবমিলে ১৮০ দিন বা ৬ মাস সময় পাব। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যে সকল আসন শূন্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে যখনই তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে আমরা প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করব।