ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর করা সংবিধান ষোলআনাই অমান্য করা হচ্ছে: ড. কামাল

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯
  • / 149

ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর করা সংবিধান ষোলআনা অমান্য করা হচ্ছে। আর এজন্যই দেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। দেশকে এ অবস্থা থেকে বের করে আনতে হবে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। আবার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্নীতি ও অপসাশন মুক্ত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। সেই ঐক্যের জন্য আপোষহীনভাবে কাজ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও প্রতিরোধ য্দ্ধু’- শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সভার আয়োজন করে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বেগম নাসরিন সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু ড. কামাল হোসেনের ভালোবাসা থেকে প্রত্যাহার করিনি। আজকের এ আলোচনাই জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ভেবেছিলাম ঐক্যফ্রন্টে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে দেখলাম বিএনপির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে তারেক রহমানকে ক্ষমতায় আনতে আমি কোনোদিন রাজনীতি করিনি। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই একজন নেতা। কিন্তু তারেক রহমান নয়।

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে এ অনুষ্ঠানে আসার জন্য ফোন করেছিলাম। কিন্তু তারা বিভিন্ন প্রোগ্রামের কথা বলেছেন। আমি প্রশ্ন করেছি প্রোগ্রাম না থাকলে কি আসতেন? কিন্তু তারা বলেছেন এতো সাহস নেই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যদি বিএনপিতে এতো দ্বিধাবিভক্ত থাকে তাহলে বিএনপি এগিয়ে যেতে পারবে না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় কিনা সন্দেহ আছে। খালেদা জিয়া জেলে গেলো, কিন্তু এক ঘণ্টার জন্যও কিছু করতে পারল না দলটির নেতা-কর্মীরা।’

১৫ আগস্টের কালরাত্রির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান কর্নেল জামিল ও তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান শফিউল্লাহর ফাঁসি হওয়া উচিত।’

আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা বাঙালি জাতিকে চিরদিনের জন্য অকৃতজ্ঞ জাতিতে পরিণত করেছে। বঙ্গবন্ধু যদি দলীয় সরকার গঠন না করে জাতীয় সরকার গঠন করতেন তাহলে এভাবে হত্যার শিকার হতে হতো না। তখন রক্ষীবাহিনী থাকলেও বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সেনাবাহিনীর প্রধান কি এসব জানতেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজত হবে আওয়ামী লীগকে।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু দল, মত,সবার। শুধু আওয়ামী লীগের নয়। বঙ্গবন্ধুর পর জাতীয় নেতা হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জিয়াউর রহমানকেও স্মরণ করা উচিত।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে জামিন দেয়া উচিত।

Tag :

শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর করা সংবিধান ষোলআনাই অমান্য করা হচ্ছে: ড. কামাল

আপডেট টাইম : ১২:১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর করা সংবিধান ষোলআনা অমান্য করা হচ্ছে। আর এজন্যই দেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। দেশকে এ অবস্থা থেকে বের করে আনতে হবে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। আবার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্নীতি ও অপসাশন মুক্ত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। সেই ঐক্যের জন্য আপোষহীনভাবে কাজ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও প্রতিরোধ য্দ্ধু’- শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সভার আয়োজন করে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বেগম নাসরিন সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু ড. কামাল হোসেনের ভালোবাসা থেকে প্রত্যাহার করিনি। আজকের এ আলোচনাই জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ভেবেছিলাম ঐক্যফ্রন্টে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে দেখলাম বিএনপির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে তারেক রহমানকে ক্ষমতায় আনতে আমি কোনোদিন রাজনীতি করিনি। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই একজন নেতা। কিন্তু তারেক রহমান নয়।

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে এ অনুষ্ঠানে আসার জন্য ফোন করেছিলাম। কিন্তু তারা বিভিন্ন প্রোগ্রামের কথা বলেছেন। আমি প্রশ্ন করেছি প্রোগ্রাম না থাকলে কি আসতেন? কিন্তু তারা বলেছেন এতো সাহস নেই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যদি বিএনপিতে এতো দ্বিধাবিভক্ত থাকে তাহলে বিএনপি এগিয়ে যেতে পারবে না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় কিনা সন্দেহ আছে। খালেদা জিয়া জেলে গেলো, কিন্তু এক ঘণ্টার জন্যও কিছু করতে পারল না দলটির নেতা-কর্মীরা।’

১৫ আগস্টের কালরাত্রির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান কর্নেল জামিল ও তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান শফিউল্লাহর ফাঁসি হওয়া উচিত।’

আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা বাঙালি জাতিকে চিরদিনের জন্য অকৃতজ্ঞ জাতিতে পরিণত করেছে। বঙ্গবন্ধু যদি দলীয় সরকার গঠন না করে জাতীয় সরকার গঠন করতেন তাহলে এভাবে হত্যার শিকার হতে হতো না। তখন রক্ষীবাহিনী থাকলেও বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সেনাবাহিনীর প্রধান কি এসব জানতেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজত হবে আওয়ামী লীগকে।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু দল, মত,সবার। শুধু আওয়ামী লীগের নয়। বঙ্গবন্ধুর পর জাতীয় নেতা হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জিয়াউর রহমানকেও স্মরণ করা উচিত।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে জামিন দেয়া উচিত।