ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক কবিতা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সামি হোসেন চিশতীর বিজয়।

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
  • / 117
৭১: বাংলাদেশী কবি, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষা গবেষক সামি হোসেন চিশতী পি-থ্রি পোয়েট্রি গ্রুপ ও সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএলসি কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক  কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। 
গতকাল সিডনী সময় বিকেল ৪ টায় অনলাইনে  পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় । সেখানে জুরি বোর্ড সামি কে তার “ফিউনেরাল অব সিম্বলস” কবিতার জন্য বিজয়ী  ঘোষণা করেন।  
চলতি মাসের শুরুতে এই বহুভাষী কবিতার প্রতিযোগিতা শুরু করা হয় এবং তা সকল দেশের সকল ভাষার কবিদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারণ করে দেয়া হয় “প্রতীক”। আমাদের সমাজ ও সভ্যতায় প্রতীকের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে অজস্র কবিতা জমা পড়ে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশ থেকে। তার মধ্যে সেরা ৬ জন কবিকে সন্মানিত করে পিথ্রি-এফএলসি।
বিচারক মন্ডলীতে ছিলেন সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, গবেষক ও কবি ডঃ আহমার মাহবুব ও ইতালির ইস্টার্ন পিয়েডমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কবি ডক্টর প্রসানানশু। 
অধ্যাপক আহমার বলেন, “সবকটি কবিতাই অনবদ্য ছিল এবং বিশ্বের অনেক স্বনামধন্য কবিরা এতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে সেরা কবিতা নির্বাচন করা সত্যিই কঠিন একটি কাজ ছিল।”
৩জন কে সন্মাননা প্রদানের পর সেরা ৩ এর নাম ঘোষণার সময় উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছিল। ২য় রানার্স আপ রোশনী আনোয়ার এবং প্রথম রানার আপ রবিতেজ সিং মাগোর নাম ঘোষণার পর আর একটি ঘোষণাই বাকি ছিল, সেটি চ্যাম্পিয়নের। সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিচারকমন্ডলী ঘোষণা করেন ১ম স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের সামি হোসেন চিশতীর নাম। 
আবেগআপ্লুত সামি বলেন, ” আমার কাছে এটি অনেক বড় একটি সন্মাননা। প্রাইজ মানি বা সার্টিফিকেটের চেয়ে আমার কাছে নিজের দেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করতে পারাটাই বড় ব্যাপার। আমি ধন্যবাদ জানাই সিডনী বিশ্ববিদ্যালয় ও পিথ্রি কে এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য।” 
এসময় তিনি যে কবিতার জন্য প্রথম হয়েছেন তা আবৃত্তি করে শুনান। সামির এই অর্জনে ইউজিসি অধ্যাপক ও দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ফকরুল আলম , নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফাদার শঙ্কর রোজারিও, ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব  আবুল খায়ের চৌধুরী সহ অনেকে শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভূঁইয়ার সন্তান সামি বর্তমানে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী সামি পূর্বেও কবিতা ও ছোটগল্প লিখে সমালোচকদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন। শিক্ষকতা ও লেখালেখির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করেন।
Tag :

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক কবিতা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সামি হোসেন চিশতীর বিজয়।

আপডেট টাইম : ০৩:২৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
৭১: বাংলাদেশী কবি, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষা গবেষক সামি হোসেন চিশতী পি-থ্রি পোয়েট্রি গ্রুপ ও সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএলসি কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক  কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। 
গতকাল সিডনী সময় বিকেল ৪ টায় অনলাইনে  পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় । সেখানে জুরি বোর্ড সামি কে তার “ফিউনেরাল অব সিম্বলস” কবিতার জন্য বিজয়ী  ঘোষণা করেন।  
চলতি মাসের শুরুতে এই বহুভাষী কবিতার প্রতিযোগিতা শুরু করা হয় এবং তা সকল দেশের সকল ভাষার কবিদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারণ করে দেয়া হয় “প্রতীক”। আমাদের সমাজ ও সভ্যতায় প্রতীকের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে অজস্র কবিতা জমা পড়ে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশ থেকে। তার মধ্যে সেরা ৬ জন কবিকে সন্মানিত করে পিথ্রি-এফএলসি।
বিচারক মন্ডলীতে ছিলেন সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, গবেষক ও কবি ডঃ আহমার মাহবুব ও ইতালির ইস্টার্ন পিয়েডমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কবি ডক্টর প্রসানানশু। 
অধ্যাপক আহমার বলেন, “সবকটি কবিতাই অনবদ্য ছিল এবং বিশ্বের অনেক স্বনামধন্য কবিরা এতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে সেরা কবিতা নির্বাচন করা সত্যিই কঠিন একটি কাজ ছিল।”
৩জন কে সন্মাননা প্রদানের পর সেরা ৩ এর নাম ঘোষণার সময় উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছিল। ২য় রানার্স আপ রোশনী আনোয়ার এবং প্রথম রানার আপ রবিতেজ সিং মাগোর নাম ঘোষণার পর আর একটি ঘোষণাই বাকি ছিল, সেটি চ্যাম্পিয়নের। সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিচারকমন্ডলী ঘোষণা করেন ১ম স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের সামি হোসেন চিশতীর নাম। 
আবেগআপ্লুত সামি বলেন, ” আমার কাছে এটি অনেক বড় একটি সন্মাননা। প্রাইজ মানি বা সার্টিফিকেটের চেয়ে আমার কাছে নিজের দেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করতে পারাটাই বড় ব্যাপার। আমি ধন্যবাদ জানাই সিডনী বিশ্ববিদ্যালয় ও পিথ্রি কে এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য।” 
এসময় তিনি যে কবিতার জন্য প্রথম হয়েছেন তা আবৃত্তি করে শুনান। সামির এই অর্জনে ইউজিসি অধ্যাপক ও দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ফকরুল আলম , নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফাদার শঙ্কর রোজারিও, ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব  আবুল খায়ের চৌধুরী সহ অনেকে শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভূঁইয়ার সন্তান সামি বর্তমানে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী সামি পূর্বেও কবিতা ও ছোটগল্প লিখে সমালোচকদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন। শিক্ষকতা ও লেখালেখির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করেন।