নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পৌঁছে দিতে হবে : স্পিকার
- আপডেট টাইম : ১২:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯
- / 101
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব বাঙালির বৈষম্য ও বঞ্চনা গভীরভাবে অনুভব করেছেন।তাদের মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত আত্মোৎসর্গ করেছেন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতির পিতার ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, জাতীয় সংসদের হুইপ মো. ইকবালুর রহিম ও আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সচিবালয়ের উপ-সচিব (আইন) মো. তারিক মাহমুদ, পরিচালক এম এম মঞ্জুর, উপ-পরিচালক সামিয়া রুবায়েত হোসেইন, সহকারী সচিব আসিফ হাসান, সহকারী পরিচালক কামাল হোসেন ও মাসুম বিল্লাহ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোস্তফা হোসেন, আতর আলী, আবুল খায়ের উজ্জ্বল প্রমূখ।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। বাঙালির স্বাধীনতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু তার জীবনের বড় অংশ কারাগারে কাটিয়েছেন। মামলা, জেল, জুলুম ও মৃত্যুভয় তাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করাতে পারেনি। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও তিনি আপস করেননি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন জনগণকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে না পারলে অধিকার প্রতিষ্ঠা কিংবা উন্নয়ন কিছুই সম্ভব নয়। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই ছিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের একমাত্র দর্শন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বজন হারানোর ব্যথা ভুলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব সূচকে উন্নয়নের রোল মডেল। এ সময় তিনি জাতির পিতার আদর্শকে ধারন করে তাঁরই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আত্মনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো বিচক্ষণ নেতা বিশ্বে কম এসেছে। যিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। যে কারণে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য নেলসন ম্যান্ডেলার মতো তাকেও বছরের পর বছর জেলখানায় কাটাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ধারণ করে দেশগড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।