মুক্তিযুদ্ধে ‘বার্মিংহামের অবদানের অজানা অধ্যায়ের খোঁজে নিউ হোপ গ্লোবাল
- আপডেট টাইম : ১২:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
- / 174
৭১: বার্মিংহামে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য নিউ হোপ গ্লোবাল ন্যাশনাল হেরিটেজ ফান্ড থেকে অনুদান পেয়েছে। এটি বার্মিংহামে দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সর্ম্পকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং পরিবেশনের উপর গুরুত্ব দেবে। বাংলাদেশের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তা ও স্বাধীকার আন্দোলনের উত্থানের ফলে একটি বিপ্লব এবং সশস্ত্র সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছিল। এই স্মরণীয় যুদ্ধের সাথে বার্মিংহামের একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। কারণ এই শহরের বাঙালিরা ১৯৬৯ সালে প্রথম পূর্ব পাকিস্তান মুক্তি ফ্রন্ট গঠন করেছিল। বার্মিংহামের, বিশেষত দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের অনেক তরুণ প্রজন্মের পক্ষে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ইতিহাস অজানা। এই যুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য, আমরা যুদ্ধের ডকুমেন্টারি, চারু ও কারুশিল্পের কর্মশালার প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা, যুদ্ধের গল্প ও সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক আলোচনা এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর নাটিকা প্রদর্শন করব।
আমরা আশা করছি অন্তত ৫০০জনের অধিক কম্যুনিটির জনগণ এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য চিহিৃত করা ও ব্যাখ্যা করা, ঘটনা সম্পর্কে মানুষকে আলোকিত করা এবং বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধু-সুলভ আলোচনার জন্য এবং মৈত্রী বাড়ানোর জন্য কাজ করবে। এই প্রকল্পের অধীনে তিনটি পত্রিকা, একটি বই এবং মৌখিক ইতিহাস সাক্ষাৎকারের একটি ডকুমেন্টারিও তৈরী করা হবে যা বার্মিংহামের লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ করা হবে। এই প্রকল্পের অন্যতম গবেষক ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি বিশিষ্ট সাংবাদিক জামাল উদ্দিন প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের সমন্বয় সাধন করবেন। সাংবাদিক জামাল উদ্দিন সিলেটসহ দেশের সকল বিষয় সমন্বয় করার কথা রয়েছে।
প্রকল্পের জন্যে অর্থ প্রাপ্তি বিষয়ে নিউজ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার গর্বিত ইতিহাস রয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছিল। বার্মিংহামের সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পরিচিত করার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করার জন্য আমি ন্যাশনাল হেরিটেজ ফান্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।