ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরাধীর ছাড় নেই, হোক সে দলের অথবা ক্ষমতাবান

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
  • / 114

৭১: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপরাধী যেই হোক তার কোনও ছাড় নেই। হোক সে দলীয় পরিচয়ের কিংবা ক্ষমতাবান।

রোববার (২৮ জুন) সংসদ ভবন এলাকায় নিজ সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কাদের বলেন, শুধু স্বাস্থ্য খাতেই নয়, যেকোনো খাতের অনিয়ম, অন্যায়, দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল।

এ সময় কাদের করোনা সংকটের মধ্যে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দেয়ায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আহ্বানও জানান।

হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় বাড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গবেষণা ও গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত অনেক রোগী বাসাবাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। যারা বাসা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের সেবা ও প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ পেতে টেলি-মেডিসিন সেবা ও হটলাইন সেবা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এমন সংক্রমণ কাছের মানুষ দূরে চলে যায়, প্রিয়জন অচনা হয়ে যায়। মা-বাবা কিংবা স্বামী; স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে চলে যাচ্ছে। আবার মৃত্যুর পর অনেকেই কাছে আসছে না।


এ বিষয়ে কাদের বলেন, রোগীর মৃত্যুর ৩ ঘণ্টা মরদেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ নেই। এ রোগ অভিশাপ নয়, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে যে কেউই আপনজনদের দাফন করতে পারে।

সরকারি হাসপাতালসহ চিকিৎসা বিষয়ক সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, সাধারণ রোগী ও উচ্চবিত্ত রোগীদের কোনো বাছবিচার করা চলবে না, সবাইকে সমান চোখে দেখে চিকিৎসা করুন। সব রোগীকে সমানভাবে দেখবেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ভিআইপি কালচারে বিশ্বাসী নয়। সরকার এ সংকটে এমন চর্চাকে নিরুৎসাহিত করে।

কাদের বলেন, বর্তমানে ৬৬ ল্যাবে টেস্ট করোনা হচ্ছে। এ সুবিধা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের জনস্বার্থে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বানও জানান।

টেস্ট ক্যাপাসিটি বাড়ানো গেলে অর্থাৎ সংক্রমণ চিহ্নিত করা গেলে এ রোগের বিস্তার কমানো সম্ভব হবে। আমাদের এখন বেশি প্রয়োজন রোগী চিহ্নিত করা।

Tag :

শেয়ার করুন

অপরাধীর ছাড় নেই, হোক সে দলের অথবা ক্ষমতাবান

আপডেট টাইম : ০২:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০

৭১: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপরাধী যেই হোক তার কোনও ছাড় নেই। হোক সে দলীয় পরিচয়ের কিংবা ক্ষমতাবান।

রোববার (২৮ জুন) সংসদ ভবন এলাকায় নিজ সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কাদের বলেন, শুধু স্বাস্থ্য খাতেই নয়, যেকোনো খাতের অনিয়ম, অন্যায়, দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল।

এ সময় কাদের করোনা সংকটের মধ্যে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দেয়ায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আহ্বানও জানান।

হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় বাড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গবেষণা ও গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত অনেক রোগী বাসাবাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। যারা বাসা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের সেবা ও প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ পেতে টেলি-মেডিসিন সেবা ও হটলাইন সেবা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এমন সংক্রমণ কাছের মানুষ দূরে চলে যায়, প্রিয়জন অচনা হয়ে যায়। মা-বাবা কিংবা স্বামী; স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে চলে যাচ্ছে। আবার মৃত্যুর পর অনেকেই কাছে আসছে না।


এ বিষয়ে কাদের বলেন, রোগীর মৃত্যুর ৩ ঘণ্টা মরদেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ নেই। এ রোগ অভিশাপ নয়, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে যে কেউই আপনজনদের দাফন করতে পারে।

সরকারি হাসপাতালসহ চিকিৎসা বিষয়ক সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, সাধারণ রোগী ও উচ্চবিত্ত রোগীদের কোনো বাছবিচার করা চলবে না, সবাইকে সমান চোখে দেখে চিকিৎসা করুন। সব রোগীকে সমানভাবে দেখবেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ভিআইপি কালচারে বিশ্বাসী নয়। সরকার এ সংকটে এমন চর্চাকে নিরুৎসাহিত করে।

কাদের বলেন, বর্তমানে ৬৬ ল্যাবে টেস্ট করোনা হচ্ছে। এ সুবিধা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের জনস্বার্থে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বানও জানান।

টেস্ট ক্যাপাসিটি বাড়ানো গেলে অর্থাৎ সংক্রমণ চিহ্নিত করা গেলে এ রোগের বিস্তার কমানো সম্ভব হবে। আমাদের এখন বেশি প্রয়োজন রোগী চিহ্নিত করা।