অবশেষে ‘বসার জায়গা’ পাচ্ছে গুদামে থাকা ৮ আইসিইউ
- আপডেট টাইম : ১১:১২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
- / 128
ট্টগ্রামের করোনা রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সেবা অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আগামী সোমবার জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত ভেন্টিলেটরসহ ১০টি নতুন আইসিইউ শয্যা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে ত্রুটি–বিচ্যুতি দেখা হবে। এরপর রোগীদের রাখা হবে। পাশাপাশি একই হাসপাতালের গুদামে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা বাকি আটটি আইসিইউ শয্যাও দ্রুততর সময়ে বসানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালে আপাতত অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে আইসিইউ সেবা নিশ্চিত করা হবে। নতুন আসা ১০টি আইসিইউ শয্যা বসে গেছে। এখন আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। জানতে চাইলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার পরীক্ষা করে দেখে আশা করি মঙ্গল অথবা বুধবার থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া যাবে। সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেনারেল হাসপাতালের জন্য নতুন ১০টি আইসিইউ শয্যা পাঠায়। আসার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মাধ্যমে এগুলো বসানোর কাজ শুরু হয়। যেসব কক্ষে শয্যাগুলো বসানো হয়েছে, সেখানে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থা আছে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোমবারে পরীক্ষামূলক চালুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এসি, লাইটসহ নানা কাজ হয়ে গেছে। তবে কক্ষগুলোর দেয়াল স্যাঁতসেঁতে হওয়ার কারণে নতুন সিলার প্রলেপ দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। আশা করি, সপ্তাহের শেষ নাগাদ রোগী দেওয়া যাবে।’
গুদামের ৮ শয্যাও বসবে
আলোর মুখ দেখছে সাড়ে তিন বছর গুদামে পড়ে থাকা আটটি আইসিইউ শয্যাও। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আট শয্যা দ্রুততর সময়ে বসানোর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য রোববার ঠিকাদারকে ডাকা হয়েছে। বসানোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। জানতে চাইলে হাসান শাহরিয়ার কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘গুদামে থাকা আট শয্যা বসানোর বিষয়ে মন্ত্রী, সচিবসহ বিভিন্ন দিক থেকে মৌখিক নির্দেশ পেয়েছি। তারপরও একটা লিখিত দিতে বলেছি। রোববার থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে।’
২০১৪-১৫ সালে জেনারেল হাসপাতালের জন্য অন্যান্য যন্ত্রপাতির সঙ্গে এই আট শয্যা কেনা হয়েছিল। কিন্তু কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হওয়ায় এসব শয্যা স্থাপন করা যায়নি। করোনা মোকাবিলায় চট্টগ্রামে আইসিইউ শয্যা নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন হওয়ার পর এই আট শয্যার কথা উঠে আসে। ১৩ এপ্রিল প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘গুদামে আট আইসিইউ শয্যা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া এই আট শয্যা বসানোর বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিব মো. আসাদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি অবহিত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান ও স্বাচিপের চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক আ ন ম মিনহাজুর রহমান। পরে স্বাস্থ্যসচিব চট্টগ্রামের পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবিরকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘মামলা–সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এই আটটি আইসিইউ শয্যা হাসপাতালের গুদামে পড়েছিল। এখন সংকটকালীন এগুলো কীভাবে বসানো যায়, তা নিয়ে আমি ও তথ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বাস্থ্যসচিব এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। বসাতে গেলে যদি কিছু যন্ত্রপাতি লাগে, তা স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।’