ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
  • / 145

নিউজ লাইট ৭১: বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদত্ত ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক। ওই ভাষণের দিক-নির্দেশনার পথ ধরেই ৯ মাসের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে।

কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।

শনিবার (৭ মার্চ) দেশটির বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করে। এ উপলক্ষে হাইকমিশন মিলনায়তনে হাই কমিশনার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

হাই কমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক)দেওয়ান হোসনে আইয়ুবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শন করা হয়। পরে ছিল উন্মুক্ত আলোচনা।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, কবির চৌধুরী, জিয়াউল হক, অধ্যাপক নিপা ব্যানার্জী, রিয়াজ জামান, শামসেদ রানাসহ হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অটোয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এর ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এই ভাষণের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বক্তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরা ও প্রবাসে সবার সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ কালজয়ী ভাষণ এতটাই হৃদয়গ্রাহী ও মানবতাবাদী যা বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ কারণে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। তাই এ দিবসটি জাতীয়ভাবেই শুধু নয় বরং আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমামের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে বছরব্যাপী নানা ধরনের অনুষ্ঠান যেমন- সেমিনার, সিমপোজিয়াম ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এবং নিকারাগুয়াতেও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। 


Tag :

শেয়ার করুন

বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন

আপডেট টাইম : ১১:২৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদত্ত ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক। ওই ভাষণের দিক-নির্দেশনার পথ ধরেই ৯ মাসের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে।

কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।

শনিবার (৭ মার্চ) দেশটির বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করে। এ উপলক্ষে হাইকমিশন মিলনায়তনে হাই কমিশনার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

হাই কমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক)দেওয়ান হোসনে আইয়ুবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শন করা হয়। পরে ছিল উন্মুক্ত আলোচনা।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, কবির চৌধুরী, জিয়াউল হক, অধ্যাপক নিপা ব্যানার্জী, রিয়াজ জামান, শামসেদ রানাসহ হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অটোয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এর ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এই ভাষণের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বক্তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরা ও প্রবাসে সবার সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ কালজয়ী ভাষণ এতটাই হৃদয়গ্রাহী ও মানবতাবাদী যা বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ কারণে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। তাই এ দিবসটি জাতীয়ভাবেই শুধু নয় বরং আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমামের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে বছরব্যাপী নানা ধরনের অনুষ্ঠান যেমন- সেমিনার, সিমপোজিয়াম ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এবং নিকারাগুয়াতেও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।