ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০
  • / 115

নিউজ লাইট ৭১: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উত্থানে মূলধারার গণমাধ্যম হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র টিএসসি মিলনায়তনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ২য় সম্মেলনের প্রথম সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা তিনি এ কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়েই ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার শুরু। ১৯৯৬ সালে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে। এরপর ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৩২টি। অন্তত এক ডজন কমিউনিটি রেডিও এর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে মূলধারার গণমাধ্যম এখন হুমকির মুখে। তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে চলে গেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট না, পুরো বিশ্বেই। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অনেক পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। সার্কুলেশন কমে গেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুব ভালো কিছু না। ইউরোপের এক জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করে, সামাজিক যোগাযোগ সামাজিক অস্থিরতা তৈরির জন্য দায়ী। গণতন্ত্র ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য হুমকি এগুলো। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা এখন বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করেছি। আগে চ্যানেলে সিরিয়াল ছিল না, আমরা শৃঙ্খলা এনেছি।

তিনি বলেন, সম্প্রচারমাধ্যমের পেশার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, অবশ্যই তাদের চাকরির সুরক্ষা প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করব খুব শিগগির গণমাধ্যমকর্মী আইন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য। আগামী সংসদ অধিবেশনে সেটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। গণমাধ্যমকর্মী আইন যখন চূড়ান্ত হবে, তখন গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির আইনগতভাবে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।

সম্প্রচার আইন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার আইন দেড় বছর আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয় এটির ভেটিংয়ের কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত ভেটিং হয়ে আমাদের কাছে পৌঁছে যাবে। আপনারা জানেন, সম্প্রচার নীতিমালা রয়েছে, এটি আইনে পরিণত হবে।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য মিডিয়ার স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়া উন্নয়ন তুলে ধরে। সাংবাদিকরা যেন সব ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে, সে পরিবেশ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নইলে মূলধারার গণমাধ্যমের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা ওঠে যাবে। যা ভাল কিছু না। এমনটা কাম্য না।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বলেন, এই সরকারের আমলে সাংবাদিকরা সবসময় নিরাপদ। এই সরকার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে।

অনুষ্ঠানের প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিজেসি’র সভাপতি রেজোয়ানুল হক।

Tag :

শেয়ার করুন

শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু

আপডেট টাইম : ১০:৪৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উত্থানে মূলধারার গণমাধ্যম হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র টিএসসি মিলনায়তনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ২য় সম্মেলনের প্রথম সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা তিনি এ কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়েই ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার শুরু। ১৯৯৬ সালে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে। এরপর ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৩২টি। অন্তত এক ডজন কমিউনিটি রেডিও এর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে মূলধারার গণমাধ্যম এখন হুমকির মুখে। তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে চলে গেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট না, পুরো বিশ্বেই। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অনেক পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। সার্কুলেশন কমে গেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুব ভালো কিছু না। ইউরোপের এক জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করে, সামাজিক যোগাযোগ সামাজিক অস্থিরতা তৈরির জন্য দায়ী। গণতন্ত্র ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য হুমকি এগুলো। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা এখন বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করেছি। আগে চ্যানেলে সিরিয়াল ছিল না, আমরা শৃঙ্খলা এনেছি।

তিনি বলেন, সম্প্রচারমাধ্যমের পেশার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, অবশ্যই তাদের চাকরির সুরক্ষা প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করব খুব শিগগির গণমাধ্যমকর্মী আইন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য। আগামী সংসদ অধিবেশনে সেটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। গণমাধ্যমকর্মী আইন যখন চূড়ান্ত হবে, তখন গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির আইনগতভাবে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।

সম্প্রচার আইন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার আইন দেড় বছর আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয় এটির ভেটিংয়ের কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত ভেটিং হয়ে আমাদের কাছে পৌঁছে যাবে। আপনারা জানেন, সম্প্রচার নীতিমালা রয়েছে, এটি আইনে পরিণত হবে।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য মিডিয়ার স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়া উন্নয়ন তুলে ধরে। সাংবাদিকরা যেন সব ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে, সে পরিবেশ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নইলে মূলধারার গণমাধ্যমের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা ওঠে যাবে। যা ভাল কিছু না। এমনটা কাম্য না।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বলেন, এই সরকারের আমলে সাংবাদিকরা সবসময় নিরাপদ। এই সরকার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে।

অনুষ্ঠানের প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিজেসি’র সভাপতি রেজোয়ানুল হক।