ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মাথা নুইয়ে’ ক্ষমা চাইলেন ধর্মীয় নেতা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০
  • / 112

নিউজ লাইট ৭১: চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৬ জন, আক্রান্ত হয়েছে ৪৩৩৫ জন।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় পাশাপাশি দুটো শহরে দেগু এবং চোংডো থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসে আক্রান্তদের অধিকাংশই অঞ্চলটির শিনচিওঞ্জি নামে ক্ষুদ্র একটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা।

দাবি করা হচ্ছে, ধর্মীয় গোষ্ঠীটির কয়েকশ সদস্য ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের কথা জানানোর পরই তাদের অনেকের শরীরেই প্রথম করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৬০ শতাংশই শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের লোক। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রদায়টির নেতা হাঁটু গেড়ে ও মাথা নুইয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।

স্থানীয় গির্জায় এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের সম্প্রদায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য ক্ষমা চান লি ম্যান-হি নামে ৮৮ বছর বয়সী ওই ধর্মীয় নেতা।

তিনি বলেন, ‘যদিও ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমূলক নয়, এরপরও অনেক লোক আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি কিন্তু আমরা এটিকে রোধ হতে পারিনি।’

এদিকে গতমাসে দেশটির সরকার শিনচিওঞ্জি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয় হাজারেরও বেশি সদস্যকে পারবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘরের মধ্যে থাকার নির্দেশ দেয়। তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে, কার সূত্রে তাদের এই সম্প্রদায়ের এতজন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন

Tag :

শেয়ার করুন

‘মাথা নুইয়ে’ ক্ষমা চাইলেন ধর্মীয় নেতা

আপডেট টাইম : ০৮:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৬ জন, আক্রান্ত হয়েছে ৪৩৩৫ জন।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় পাশাপাশি দুটো শহরে দেগু এবং চোংডো থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসে আক্রান্তদের অধিকাংশই অঞ্চলটির শিনচিওঞ্জি নামে ক্ষুদ্র একটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা।

দাবি করা হচ্ছে, ধর্মীয় গোষ্ঠীটির কয়েকশ সদস্য ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের কথা জানানোর পরই তাদের অনেকের শরীরেই প্রথম করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৬০ শতাংশই শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের লোক। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রদায়টির নেতা হাঁটু গেড়ে ও মাথা নুইয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।

স্থানীয় গির্জায় এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের সম্প্রদায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য ক্ষমা চান লি ম্যান-হি নামে ৮৮ বছর বয়সী ওই ধর্মীয় নেতা।

তিনি বলেন, ‘যদিও ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমূলক নয়, এরপরও অনেক লোক আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি কিন্তু আমরা এটিকে রোধ হতে পারিনি।’

এদিকে গতমাসে দেশটির সরকার শিনচিওঞ্জি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয় হাজারেরও বেশি সদস্যকে পারবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘরের মধ্যে থাকার নির্দেশ দেয়। তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে, কার সূত্রে তাদের এই সম্প্রদায়ের এতজন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন