ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ই-পাসপোর্টের জন্য ঘরে বসে যেভাবে আবেদন করবেন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মার্চ ২০২০
  • / 120

নিউজ লাইট ৭১: দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ডিআইপি ডটগভ ডটবিডির তথ্য অনুযায়ী, ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে। এ চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য, যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রোপ্রসেসর বা চিপ এবং অ্যান্টেনাসহ স্মার্টকার্ড প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। ই-পাসপোর্টে যেসব বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়া হয় সেসব হলো—ছবি, আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দিয়ে পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক যাচাই করা হয়। পাবলিক কি ইনফ্রাষ্ট্রাকচােরর (পিকেআই) মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপে থাকা তথ্য যাচাই করা হয়। তাই জালিয়াতি করা কঠিন।সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের পার্থক্য হলো, এতে মোবাইল ফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানো অবস্থায়। ই-পাসপোর্ট করার সময় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) তথ্যভাণ্ডারে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। নিম্নলিখিত উপায় অনুসরন করলে আমরা খুব সহজে ই-পাসপোর্ট পেয়ে যেতে পারি।

ই-পাসপোর্ট (রিনিউ) এবং নতুন দের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি। ঢাকার জন্য আপাততঃ শুধুমাত্র আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সাধারণতঃ আবেদন ২১ দিন পর ডেলিভারি ডেট দেয়ার কথা থাকলেও অনেকে ২ থেকে ৩ মাস পর ডেট পাচ্ছেন অনলাইনে আবেদন করার পর থেকে। যদিও এটি খুবই সহজ এবং ঝামেলাহীন।

অনলাইনে আবেদন করে শিডিউল নিবেন https://epassport.gov.bd  এই ওয়েবসাইট থেকে। অতঃপর সাইটে ঢুকে আইডি খুলবেন।

মেইল আইডি দিবেন সঠিক ভাবে সেখানে লিংক যাবে activation এর জন্য।

Active হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপ, এভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করবেন, শেষ ধাপে অনলাইন পেমেন্ট এর অপশন আসবে ( এটা একবার ই আসে, তাই সাবধানে করবেন) অনলাইন পেমেন্ট এর জন্য বিকাশ, মাস্টার ও ভিসা কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারেন। পাসপোর্ট এর পেজ ৪৮/৬৪ এবং মেয়াদকাল ৫/১০ বছর অনুযায়ী, এবং জরুরী বা স্বাভাবিক এর ভিত্তিতে টাকার পরিমান আসবে, সেই অনুযায়ী টাকা দিবেন, অথবা ব্যাংক এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাইলে ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকে পেমেন্ট করতে পারবেন।

যা যা লাগবেঃ

১. অনলাইন আবেদনের PDF প্রিন্ট করে ( খেয়াল রাখবেন যেন বারকোড আসে)

২. NID ফটোকপি ( অরিজিনাল নিয়ে যেতে হবে) অরিজিনাল NID ছাড়া আবেদন পত্র জমা নিচ্ছেনা ১৮+ হলে)

৩. অফিস/ স্টুডেন্ট আইডি কপি ( অরিজিনাল নিয়ে যেতে হবে) পেশা পরিবর্তন করলে বা যোগ করলে)

৪. পেমেন্ট এর স্লিপ ( ব্যাংক পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে, অনলাইনে দিলে লাগবেনা)

৫. মেইলে আসা Appointment এর প্রিন্ট কপি

৬. পূর্বের পাসপোর্ট থেকে যদি কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান সমর্থন যোগ্য দলিলাদি। ( রিনিউ এর ক্ষেত্রে)

এসব নিয়ে, শিডিউল অনুযায়ী একটু আগেই যাবেন চলে যাবেন পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি ৪০১ নম্বর রুমে। বাকিটা ওনারাই করে দিবেন।

দয়া করে তাড়াহুড়া করবেন না, ধৈর্য্য ধরে সব করবেন, দালাল ধরার চিন্তাও করবেন না।

Tag :

শেয়ার করুন

ই-পাসপোর্টের জন্য ঘরে বসে যেভাবে আবেদন করবেন

আপডেট টাইম : ০৯:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মার্চ ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ডিআইপি ডটগভ ডটবিডির তথ্য অনুযায়ী, ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে। এ চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য, যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রোপ্রসেসর বা চিপ এবং অ্যান্টেনাসহ স্মার্টকার্ড প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। ই-পাসপোর্টে যেসব বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়া হয় সেসব হলো—ছবি, আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দিয়ে পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক যাচাই করা হয়। পাবলিক কি ইনফ্রাষ্ট্রাকচােরর (পিকেআই) মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপে থাকা তথ্য যাচাই করা হয়। তাই জালিয়াতি করা কঠিন।সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের পার্থক্য হলো, এতে মোবাইল ফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানো অবস্থায়। ই-পাসপোর্ট করার সময় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) তথ্যভাণ্ডারে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। নিম্নলিখিত উপায় অনুসরন করলে আমরা খুব সহজে ই-পাসপোর্ট পেয়ে যেতে পারি।

ই-পাসপোর্ট (রিনিউ) এবং নতুন দের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি। ঢাকার জন্য আপাততঃ শুধুমাত্র আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সাধারণতঃ আবেদন ২১ দিন পর ডেলিভারি ডেট দেয়ার কথা থাকলেও অনেকে ২ থেকে ৩ মাস পর ডেট পাচ্ছেন অনলাইনে আবেদন করার পর থেকে। যদিও এটি খুবই সহজ এবং ঝামেলাহীন।

অনলাইনে আবেদন করে শিডিউল নিবেন https://epassport.gov.bd  এই ওয়েবসাইট থেকে। অতঃপর সাইটে ঢুকে আইডি খুলবেন।

মেইল আইডি দিবেন সঠিক ভাবে সেখানে লিংক যাবে activation এর জন্য।

Active হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপ, এভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করবেন, শেষ ধাপে অনলাইন পেমেন্ট এর অপশন আসবে ( এটা একবার ই আসে, তাই সাবধানে করবেন) অনলাইন পেমেন্ট এর জন্য বিকাশ, মাস্টার ও ভিসা কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারেন। পাসপোর্ট এর পেজ ৪৮/৬৪ এবং মেয়াদকাল ৫/১০ বছর অনুযায়ী, এবং জরুরী বা স্বাভাবিক এর ভিত্তিতে টাকার পরিমান আসবে, সেই অনুযায়ী টাকা দিবেন, অথবা ব্যাংক এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাইলে ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকে পেমেন্ট করতে পারবেন।

যা যা লাগবেঃ

১. অনলাইন আবেদনের PDF প্রিন্ট করে ( খেয়াল রাখবেন যেন বারকোড আসে)

২. NID ফটোকপি ( অরিজিনাল নিয়ে যেতে হবে) অরিজিনাল NID ছাড়া আবেদন পত্র জমা নিচ্ছেনা ১৮+ হলে)

৩. অফিস/ স্টুডেন্ট আইডি কপি ( অরিজিনাল নিয়ে যেতে হবে) পেশা পরিবর্তন করলে বা যোগ করলে)

৪. পেমেন্ট এর স্লিপ ( ব্যাংক পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে, অনলাইনে দিলে লাগবেনা)

৫. মেইলে আসা Appointment এর প্রিন্ট কপি

৬. পূর্বের পাসপোর্ট থেকে যদি কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান সমর্থন যোগ্য দলিলাদি। ( রিনিউ এর ক্ষেত্রে)

এসব নিয়ে, শিডিউল অনুযায়ী একটু আগেই যাবেন চলে যাবেন পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি ৪০১ নম্বর রুমে। বাকিটা ওনারাই করে দিবেন।

দয়া করে তাড়াহুড়া করবেন না, ধৈর্য্য ধরে সব করবেন, দালাল ধরার চিন্তাও করবেন না।