ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবকিছুই হোক উপযুক্ত সময়ে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 88

নিউজ লাইট ৭১: ব্রাজিলে ১৩ থেকে ১৯-এর মধ্যে বয়স এমন তরুণীদের মধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়া এত বেড়ে গেছে যে তা প্রতিরোধের জন্য ‘বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক না করার’ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ‘টিনএজার’দের ।

এই পরামর্শ ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ব্রাজিলে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সমিতি এর তীব্র সমালোচনা করেছে।

এই নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন ব্রাজিলের নারী, পরিবার ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী দামারেস আলভেস। তাকে আবার সমর্থন দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বোলসেনারো।

এরা দুজনেই ইভাঞ্জেলিক্যাল খ্রিষ্টান এবং অভিযোগ উঠেছে যে তারা ব্রাজিলের জনগণের ওপর ধর্মীয় এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন।

আলভেস গত বছর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা একটা খুব জোর প্রয়াস দেখতে পাচ্ছি এটা তুলে ধরতে – যেন যৌনমিলন শুধুই আনন্দের জন্য।’

তিনি তাতে যুক্তি দেন – টিনএজ মেয়েদের গর্ভবতী হয়ে পড়া ঠেকাতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় কনডম নয়, আইইউডি নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও নয়। সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো যৌনমিলন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।

ব্রাজিলে অবশ্য ২০০০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে টিনএজ মেয়েদের গর্ভবতী হয়ে পড়ার হার ৩৬ শতাংশ কমেছে, কিন্তু তবুও ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় তা এখনো অনেক উঁচু।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী ১৫ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদের মধ্যে পৃথিবীতে প্রতি ১ লক্ষ জনের মধ্যে গড়ে ৪৪ জন গর্ভবতী হয়ে থাকে। ব্রাজিলে এই হার ৬২। টিনএজ প্রেগনেন্সির হার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায়।

বিয়ের আগে সেক্স না করার পক্ষে ব্রাজিলের সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। এর লক্ষ্য হলো অল্পবয়েসে গর্ভবতী হওয়া এবং যৌন সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে ছড়ায় এমন রোগের বিস্তার ঠেকানো।

এ প্রচারণার শিরোনাম হচ্ছে ‘সবকিছুই হোক উপযুক্ত সময়ে।’

সরকার বলছে, তারা এটিকে কোন নৈতিক ইস্যু বানাতে চায় না, এবং সেক্স থেকে বিরত থাকার ব্যাপারটা কারো ওপর চাপিয়ে দিতেও চায় না।

তবে প্রেসিডেন্ট বোলসেনারো অতীতে অভিভাবকদের বলেছিলেন, টিনএজারদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা পুস্তিকা থেকে এমন সব ছবি ছিড়ে ফেলে দিতে – যাতে নারীর প্রজননতন্ত্র এবং কীভাবে কনডম ব্যবহার করতে হয় তা দেখানো হয়েছে।

তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের সমিতি এর তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে এসব প্রচারাভিযানে কোন কাজ হয়।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে, স্কুলের ভেতরে বা বাইরে যৌন শিক্ষা দিলে যৌন কর্মকান্ড বৃদ্ধি পায় না।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Tag :

শেয়ার করুন

সবকিছুই হোক উপযুক্ত সময়ে

আপডেট টাইম : ০৮:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: ব্রাজিলে ১৩ থেকে ১৯-এর মধ্যে বয়স এমন তরুণীদের মধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়া এত বেড়ে গেছে যে তা প্রতিরোধের জন্য ‘বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক না করার’ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ‘টিনএজার’দের ।

এই পরামর্শ ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ব্রাজিলে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সমিতি এর তীব্র সমালোচনা করেছে।

এই নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন ব্রাজিলের নারী, পরিবার ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী দামারেস আলভেস। তাকে আবার সমর্থন দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বোলসেনারো।

এরা দুজনেই ইভাঞ্জেলিক্যাল খ্রিষ্টান এবং অভিযোগ উঠেছে যে তারা ব্রাজিলের জনগণের ওপর ধর্মীয় এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন।

আলভেস গত বছর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা একটা খুব জোর প্রয়াস দেখতে পাচ্ছি এটা তুলে ধরতে – যেন যৌনমিলন শুধুই আনন্দের জন্য।’

তিনি তাতে যুক্তি দেন – টিনএজ মেয়েদের গর্ভবতী হয়ে পড়া ঠেকাতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় কনডম নয়, আইইউডি নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও নয়। সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো যৌনমিলন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।

ব্রাজিলে অবশ্য ২০০০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে টিনএজ মেয়েদের গর্ভবতী হয়ে পড়ার হার ৩৬ শতাংশ কমেছে, কিন্তু তবুও ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় তা এখনো অনেক উঁচু।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী ১৫ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদের মধ্যে পৃথিবীতে প্রতি ১ লক্ষ জনের মধ্যে গড়ে ৪৪ জন গর্ভবতী হয়ে থাকে। ব্রাজিলে এই হার ৬২। টিনএজ প্রেগনেন্সির হার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায়।

বিয়ের আগে সেক্স না করার পক্ষে ব্রাজিলের সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। এর লক্ষ্য হলো অল্পবয়েসে গর্ভবতী হওয়া এবং যৌন সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে ছড়ায় এমন রোগের বিস্তার ঠেকানো।

এ প্রচারণার শিরোনাম হচ্ছে ‘সবকিছুই হোক উপযুক্ত সময়ে।’

সরকার বলছে, তারা এটিকে কোন নৈতিক ইস্যু বানাতে চায় না, এবং সেক্স থেকে বিরত থাকার ব্যাপারটা কারো ওপর চাপিয়ে দিতেও চায় না।

তবে প্রেসিডেন্ট বোলসেনারো অতীতে অভিভাবকদের বলেছিলেন, টিনএজারদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা পুস্তিকা থেকে এমন সব ছবি ছিড়ে ফেলে দিতে – যাতে নারীর প্রজননতন্ত্র এবং কীভাবে কনডম ব্যবহার করতে হয় তা দেখানো হয়েছে।

তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের সমিতি এর তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে এসব প্রচারাভিযানে কোন কাজ হয়।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে, স্কুলের ভেতরে বা বাইরে যৌন শিক্ষা দিলে যৌন কর্মকান্ড বৃদ্ধি পায় না।

সূত্র: বিবিসি বাংলা