দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী ইউপি সদস্য
- আপডেট টাইম : ১০:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 4
নড়াইলের এক নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে যশোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
স্বজনদের দাবি, মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য (৫২) মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে টিসিবির মালামাল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাওনা টাকার জন্য রাজিবুল নামে এক ব্যক্তি ফোনে ডেকে নেন তাকে। এর পর মাইজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার বাড়িতে থাকা রাজিবুলের কাছে গেলে কয়েকজন তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।
ভিক্টিম ঘটনাটি সবাইকে জানানোর হুমকি দিলে তৎক্ষণাৎ মুখে বিষ ঢেলে দেয় অভিযুক্তরা। বাড়ি ফিরে ভয়ে কাউকে কিছু জানাননি ভুক্তভোগী। পরের দিন বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়লে যশোর জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহতের পুত্রবধূ লিপি মল্লিক বলেন, মা(শাশুড়ি) রাতে বাড়িতে এসে শুয়ে পড়ে। রাত বেশি হলে অসুস্থ হয়ে বমি করতে শুরু করে। পরদিন যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালের দিকে মারা যান।
তিনি আরও বলেন, মা জানিয়েছে, পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে কিছু খাইয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠ তদন্ত করে এ ঘটনার বিচার চায়।
মৃত্যুর আগে ছেলের কাছেও নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলে গেছেন তিনি। নিহতের ছেলে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমার কাছে মা দুজনের নাম বলে গেছেন। রজিবুল ও ওসমানের বড় ছেলেসহ (নাম অজ্ঞাত) আরও অনেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
মাইজপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আক্তার মোল্যা বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি ভুক্তভোগী নারী সদস্যের পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি। এ ছাড়া যে বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে তারাও বিষয়টির ব্যাপারে পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন বলেও আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মত দেন তিনি।’
মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফুরা খাতুন বলেন, আমার একজন জনপ্রতিনিধি যেখানে অস্বাভাবিক ভাবে মারা গেছেন। আমি ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, একজন ইউপি সদস্য যশোরে মারা গেছেন দুপুরে আমরা এমন সংবাদ পায়। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
নিউজ লাইট ৭১