ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদৌও কী মিলবে প্রতিকার?

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 3

খবরের পাতায় চোখ রাখতেই নিয়মিত শিরোনামে আসছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যের খবর। বিগত মাসগুলোর রেকর্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে শহর থেকে গ্রাম প্রায় সব জায়গায় আতঙ্কের বার্তা ছিনতাইয়ের খবর। ছিনতাইকারী গ্রুপগুলো শুধু তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে না বরং রীতিমত নিয়মিত শিরোনামে এসে সাধারণ মানুষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। দেশীয় ধারালো অস্ত্র সহ নানান ভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লুটে নিচ্ছে সাথে থাকা মুঠোফোন, অর্থ এবং প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্ড ও নথিপত্র। তাদের বাধা দেওয়ার সাহস করলে ধারালো অস্ত্রের আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। দিন যাচ্ছে, ছিনতাইকারীদের ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে, একরকম সংশয় নিয়ে দিনযাপন করছেন সাধারণ মানুষেরা।

তাহলে কোথায় আছে এর প্রতিকার? কোথায় মিলবে সমাধান? কারাইবা দিবে মালামাল কিংবা জীবনের নিরাপত্তা? তিক্ত হলেও সত্যি রাস্তায় বের হয়ে এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল চোখে পড়ে না বললেই চলে। রাস্তায় চেকপোস্ট নেই, ওলিতে গলিতে টহল নেই। বর্তমান এমন ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। ছিনতাইকারীদের চ্যালেঞ্জ তাহলে শুধুই কি সাধারণ মানুষের জন্য নাকি তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে!

আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঢেলে সাজালে এমন দৃশ্য হয়তো আমাদের দেখতে হতো না। প্রতিটি রাস্তায় টহল জোরদার করা হলে অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া অপরাধীদের জন্যও এতোটা সহজ হতো না। আইনের যথাযথ প্রয়োগ থাকলে অপরাধীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি হওয়ার আশঙ্কা থাকতো না। প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করলে অপরাধ করে অপরাধী পার পেত না। রাস্তার পাশে রোড লাইটগুলো নষ্ট অবস্থায় পরে থাকায় অন্ধকারে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেইগুলো মেরামত করে সিসি ক্যামেরার মনিটরিং বাড়াতে হবে। নজরদারি থাকলে কোনো না কোনো রাস্তায় অপরাধী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়বেই। অপরাধীরা আর যাইহোক দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার চেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়, প্রয়োজন যথাযথ নজরদারি, বাড়তি টহল, আইনের প্রয়োগ।

ছিনতাইকারীদের এই দৌরাত্ম্য বন্ধে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এর পরিণাম এর চেয়েও কতটা ভয়াবহ হতে পারে আমাদের জানা নেই। সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব বলে দেয় অপরাধীরা কতটা আগ্রাসী রূপে অপরাধ কর্মকাø করেই চলেছে। আদৌও কী মিলবে প্রতিকার? তবে কী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা হীনতাই তাদের শক্তি সঞ্চয়ের উৎস?

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

আদৌও কী মিলবে প্রতিকার?

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

খবরের পাতায় চোখ রাখতেই নিয়মিত শিরোনামে আসছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যের খবর। বিগত মাসগুলোর রেকর্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে শহর থেকে গ্রাম প্রায় সব জায়গায় আতঙ্কের বার্তা ছিনতাইয়ের খবর। ছিনতাইকারী গ্রুপগুলো শুধু তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে না বরং রীতিমত নিয়মিত শিরোনামে এসে সাধারণ মানুষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। দেশীয় ধারালো অস্ত্র সহ নানান ভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লুটে নিচ্ছে সাথে থাকা মুঠোফোন, অর্থ এবং প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্ড ও নথিপত্র। তাদের বাধা দেওয়ার সাহস করলে ধারালো অস্ত্রের আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। দিন যাচ্ছে, ছিনতাইকারীদের ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে, একরকম সংশয় নিয়ে দিনযাপন করছেন সাধারণ মানুষেরা।

তাহলে কোথায় আছে এর প্রতিকার? কোথায় মিলবে সমাধান? কারাইবা দিবে মালামাল কিংবা জীবনের নিরাপত্তা? তিক্ত হলেও সত্যি রাস্তায় বের হয়ে এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল চোখে পড়ে না বললেই চলে। রাস্তায় চেকপোস্ট নেই, ওলিতে গলিতে টহল নেই। বর্তমান এমন ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। ছিনতাইকারীদের চ্যালেঞ্জ তাহলে শুধুই কি সাধারণ মানুষের জন্য নাকি তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে!

আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঢেলে সাজালে এমন দৃশ্য হয়তো আমাদের দেখতে হতো না। প্রতিটি রাস্তায় টহল জোরদার করা হলে অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া অপরাধীদের জন্যও এতোটা সহজ হতো না। আইনের যথাযথ প্রয়োগ থাকলে অপরাধীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি হওয়ার আশঙ্কা থাকতো না। প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করলে অপরাধ করে অপরাধী পার পেত না। রাস্তার পাশে রোড লাইটগুলো নষ্ট অবস্থায় পরে থাকায় অন্ধকারে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেইগুলো মেরামত করে সিসি ক্যামেরার মনিটরিং বাড়াতে হবে। নজরদারি থাকলে কোনো না কোনো রাস্তায় অপরাধী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়বেই। অপরাধীরা আর যাইহোক দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার চেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়, প্রয়োজন যথাযথ নজরদারি, বাড়তি টহল, আইনের প্রয়োগ।

ছিনতাইকারীদের এই দৌরাত্ম্য বন্ধে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এর পরিণাম এর চেয়েও কতটা ভয়াবহ হতে পারে আমাদের জানা নেই। সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব বলে দেয় অপরাধীরা কতটা আগ্রাসী রূপে অপরাধ কর্মকাø করেই চলেছে। আদৌও কী মিলবে প্রতিকার? তবে কী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা হীনতাই তাদের শক্তি সঞ্চয়ের উৎস?

নিউজ লাইট ৭১