দুই শিক্ষার্থীকে বলাৎকার, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- আপডেট টাইম : ০৫:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / 17
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের মামলায় নাজির হোসেন (২৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের এরশাদ মিয়ার ছেলে তিনি। উপজেলার লামাকাটা জঙ্গলবাড়ি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন নাজির।
দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় গতকাল শনিবার উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম লামাকাটা গ্রামের এক ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপুর্বে শনিবার সকালে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক নাজির হোসেনকে তাহিরপুর থানাধীন ট্যাকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ওই মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার এজাহার ও বাদীর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামাকাটা গ্রামের ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই শিশুকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য একই এলাকায় লামাকাটা-জঙ্গলবাড়ি একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় অন্য শিশুদের ন্যায়। মাদ্রাসা শিক্ষক নাজির হোসেন গেল ২৩ অক্টোবর রাতে প্রথমে ১০ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে ভয় ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেন। এরপর বিভিন্ন সময় রাতে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে একই গ্রামের অপর এক ১১ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে একই কায়দায় ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক বলাৎকার করেন শিক্ষক নাজির।
বিষয়টি ওই রাতে শিশু শিক্ষার্থী তার পিতাকে অবগত করেন। এরপর এলাকার লোকজন নিয়ে এসে মাদ্রাসা শিক্ষক নাজিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনাটি ভুল হয়েছে স্বীকার করলে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে অবগত করেন।
তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিকটিম শিশু শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিউজ লাইট ৭১