অস্ত্র ছাড়া নিরাপত্তাকর্মীরা, ঝুঁকিতে ব্যাংক
- আপডেট টাইম : ০৯:৫৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / 14
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে থানা থেকে অস্ত্র লুট হলে সব ধরনের অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সময় জমা পড়ে ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ল্যাইসেন্স নেয়া অস্ত্রও। এ অবস্থায় বর্তমানে নাটোরে প্রায় ৩০টি ব্যাংক শাখার নিরাপত্তাকর্মীরা অস্ত্র ছাড়া পাহারা দিচ্ছেন ব্যাংকের শাখাগুলো। ফলে এসব শাখায় দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি।
এই যেমন নাটোর সদরের ব্যবসায়ী উত্তম প্রামাণিক। ব্যবসায়িক লেনদেনে যেতে হয় বিভিন্ন ব্যাংকে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে সশস্ত্র নিরাপত্তা না থাকায় শঙ্কিত তিনি। জানান, সারাদিনের লেনদেনের টাকাটা ব্যাংকে রাখি কিন্তু ব্যাংকের নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা নেই তাহলে আমরা টাকাটা রাখবো কিভাবে। শুধু তিনি নন, তার মত অন্য গ্রাহকরাও ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা সম্পদ নিয়ে নিরাপত্তাহীন ভুগছেন।
এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন অস্ত্র ছাড়া পাহারার কাজে থাকা নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। তারা জানান, অস্ত্র ছাড়া ব্যাংকে নিরাপত্তা দেয়া কোনোভাবে সম্ভব না। অস্ত্র ছাড়া ব্যাংকের নিরাপত্তায় ডিউটি করতে আমারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
নাটোর ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার ফজলুর রহমান জানান, বৈধ-অবৈধ অস্ত্র যাছাই-বাছাই করতে সরকার সব অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
নাটোর যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা আশা করি ব্যাংকের শাখাগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে জমা দেয়া অস্ত্রগুলো দ্রুত ফিরিয়ে দেবে প্রশাসন।
এমন পরিস্থিতির পরও ব্যাংকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন নাটোরে পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন। তিনি জানান, ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তাদের নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাহিরেও যদি আরও নিরাপত্তা প্রয়োজন হয় তা আমাদের অবহিত করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো।
প্রসঙ্গত, নাটোর জেলায় এ মুহূর্তে ৮০ শতাংশ ব্যাংকে নেই সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী।
নিউজ লাইট ৭১