ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটি পণ্যের দাম কমলে বাড়ে চারটির

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / 14

ছবি: সংগৃহীত

নিত্যপণ্যের বাজারে যেনো একটির দাম কমে তো বাড়ে আরও চারটির। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দর। বেড়েছে চালের দামও। শুল্কছাড়ের সুফল নেই চিনির বাজারে। খরচ সামলাতে তাই কেনাকাটা কমিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

নিত্যপণ্যের বাজারে শান্তি মিলছে না ভোক্তা সাধারণের। টানা দুই বছরের উচ্চমূল্যস্ফীতির প্রভাব দেখা যায় সবশেষ সেপ্টেম্বরেও। এমন বাস্তবতায় বাজারের ফর্দ কাটছাট করছেন অনেকেই। কমিয়েছেন হাতখরচ। প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যয় মেটাতে ঘুরাফেরাও দিয়েছেন কমিয়ে।

ক্রেতারা জানান, বাজারের অবস্থা ভয়াবহ। দাম তো একটা বা দুই টাকা বেশি না। শতকরা হিসাব করলে অনেক টাকা। এ জন্য হিসাব করেই বাজার করতে হচ্ছে। নিজেদের জন্য অন্য খরচ না করে বাজারে সেই টাকা যুক্ত করতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা পর্যন্ত। টিসিবির হিসাবে বছর ব্যবধানে মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে আরেক জরুরি পণ্য চালের দাম বেড়েছে কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি মাঝারি আকারের আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়।

চালের দোকানদার জানান, ধানের মৌসুম উঠবে এক মাস পর। এ সময় অনেক মিলে চাল থাকে না এজন্য মিলেই কেজিপ্রতি চালের দাম বাড়িয়েছে। সব ধরণের চালের দাম বেশি।

এদিকে শুল্ক ছাড়ের প্রভাব নেই চিনির দরে। হিসেব অনুযায়ী, প্রতি কেজি চিনির দাম ১১ টাকা কমার কথা থাকলেও উল্টো প্রতি কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৩২ টাকা পর্যন্ত। সুফল নেই ভোজ্যতেলের দামেও।

বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, দেশে ৫ জন চিনি আমদানি করবে এটাকে ভেঙে দিয়ে মার্কেট ওপেন করে দিতে হবে। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

দিকে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও নাগালে বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দর। স্বস্তি ফেরেনি সবিজির বাজারেও।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

একটি পণ্যের দাম কমলে বাড়ে চারটির

আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

নিত্যপণ্যের বাজারে যেনো একটির দাম কমে তো বাড়ে আরও চারটির। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দর। বেড়েছে চালের দামও। শুল্কছাড়ের সুফল নেই চিনির বাজারে। খরচ সামলাতে তাই কেনাকাটা কমিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

নিত্যপণ্যের বাজারে শান্তি মিলছে না ভোক্তা সাধারণের। টানা দুই বছরের উচ্চমূল্যস্ফীতির প্রভাব দেখা যায় সবশেষ সেপ্টেম্বরেও। এমন বাস্তবতায় বাজারের ফর্দ কাটছাট করছেন অনেকেই। কমিয়েছেন হাতখরচ। প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যয় মেটাতে ঘুরাফেরাও দিয়েছেন কমিয়ে।

ক্রেতারা জানান, বাজারের অবস্থা ভয়াবহ। দাম তো একটা বা দুই টাকা বেশি না। শতকরা হিসাব করলে অনেক টাকা। এ জন্য হিসাব করেই বাজার করতে হচ্ছে। নিজেদের জন্য অন্য খরচ না করে বাজারে সেই টাকা যুক্ত করতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা পর্যন্ত। টিসিবির হিসাবে বছর ব্যবধানে মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে আরেক জরুরি পণ্য চালের দাম বেড়েছে কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি মাঝারি আকারের আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়।

চালের দোকানদার জানান, ধানের মৌসুম উঠবে এক মাস পর। এ সময় অনেক মিলে চাল থাকে না এজন্য মিলেই কেজিপ্রতি চালের দাম বাড়িয়েছে। সব ধরণের চালের দাম বেশি।

এদিকে শুল্ক ছাড়ের প্রভাব নেই চিনির দরে। হিসেব অনুযায়ী, প্রতি কেজি চিনির দাম ১১ টাকা কমার কথা থাকলেও উল্টো প্রতি কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৩২ টাকা পর্যন্ত। সুফল নেই ভোজ্যতেলের দামেও।

বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, দেশে ৫ জন চিনি আমদানি করবে এটাকে ভেঙে দিয়ে মার্কেট ওপেন করে দিতে হবে। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

দিকে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও নাগালে বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দর। স্বস্তি ফেরেনি সবিজির বাজারেও।

নিউজ লাইট ৭১