ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, মুরগি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:৫০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 20

ছবি: সংগৃহীত

সরকারের বেধে দেয়া ‘যৌক্তিক দামে’ বিক্রি হচ্ছে না মুরগি ও ডিম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি। তবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি ও ডিম। এর বাইরে বাজারে চালের দাম কমার কোনো সুখবর নেই। বরং কাঁচা মরিচ, বেগুন ও বরবটির মতো সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও নিউমার্কেট কাঁচা বাজারে ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত রোববার ডিম, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

মাসখানেক আগে বাজারে চালের দাম কেজিতে ৪-৬ টাকা বেড়েছিল। সেই দাম এখনো কমেনি। আর বাজারে এক সপ্তাহের মধ্যে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-১৯০ টাকা আর সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মুরগির প্রতি ডজন ডিমের দাম বাদামি ও সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা দরে।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, বুধবারের তুলনায় গতকাল পাইকারিতে ব্রয়লার মুরগির দাম ৪-৫ টাকা করে কমেছে; তবে খুচরা পর্যায়ে দাম কমেনি।

বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় বেগুন, বরবটি ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আমদানি করা কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০-২২০ টাকা দরে। এ ছাড়া বেগুন ৮০-১১০ টাকা ও বরবটি ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এসব পণ্যের দাম আগের সপ্তাহে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কম ছিল। অন্যান্য সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে।

এদিকে বাজারে চালের দাম এখনো কমেনি।

এছাড়া গতকাল প্রতি কেজি আলু ৫৫-৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০-১১৫ টাকা, আদা ২৪০-২৬০ টাকা ও রসুন ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে রুই, চিংড়ি ও পাঙাশ মাছের দাম কেজিতে ৩০-৫০ টাকা করে বেড়েছে। গতকাল ২ কেজি আকারের চাষের রুই ৩৫০-৩৮০ টাকা, মাঝারি আকারের চাষের চিংড়ি ৮০০-৯০০ টাকা ও পাঙাশ মাছ ২৩০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া এক কেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৫০০-১৭০০ টাকা দরে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক রেজা আহমেদ খান বলেন, আমরা খাত–সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ডিম ও মুরগির একটা যৌক্তিক দাম প্রস্তাব করেছি। বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার তারতম্যে এ দামে সামান্য কিছু পার্থক্য হতে পারে। তবে এসব পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানো গেলে দাম এমনিতে কমে আসবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, মুরগি

আপডেট টাইম : ০২:৫০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারের বেধে দেয়া ‘যৌক্তিক দামে’ বিক্রি হচ্ছে না মুরগি ও ডিম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি। তবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি ও ডিম। এর বাইরে বাজারে চালের দাম কমার কোনো সুখবর নেই। বরং কাঁচা মরিচ, বেগুন ও বরবটির মতো সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও নিউমার্কেট কাঁচা বাজারে ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত রোববার ডিম, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

মাসখানেক আগে বাজারে চালের দাম কেজিতে ৪-৬ টাকা বেড়েছিল। সেই দাম এখনো কমেনি। আর বাজারে এক সপ্তাহের মধ্যে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-১৯০ টাকা আর সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মুরগির প্রতি ডজন ডিমের দাম বাদামি ও সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা দরে।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, বুধবারের তুলনায় গতকাল পাইকারিতে ব্রয়লার মুরগির দাম ৪-৫ টাকা করে কমেছে; তবে খুচরা পর্যায়ে দাম কমেনি।

বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় বেগুন, বরবটি ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আমদানি করা কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০-২২০ টাকা দরে। এ ছাড়া বেগুন ৮০-১১০ টাকা ও বরবটি ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এসব পণ্যের দাম আগের সপ্তাহে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কম ছিল। অন্যান্য সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে।

এদিকে বাজারে চালের দাম এখনো কমেনি।

এছাড়া গতকাল প্রতি কেজি আলু ৫৫-৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০-১১৫ টাকা, আদা ২৪০-২৬০ টাকা ও রসুন ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে রুই, চিংড়ি ও পাঙাশ মাছের দাম কেজিতে ৩০-৫০ টাকা করে বেড়েছে। গতকাল ২ কেজি আকারের চাষের রুই ৩৫০-৩৮০ টাকা, মাঝারি আকারের চাষের চিংড়ি ৮০০-৯০০ টাকা ও পাঙাশ মাছ ২৩০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া এক কেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৫০০-১৭০০ টাকা দরে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক রেজা আহমেদ খান বলেন, আমরা খাত–সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ডিম ও মুরগির একটা যৌক্তিক দাম প্রস্তাব করেছি। বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার তারতম্যে এ দামে সামান্য কিছু পার্থক্য হতে পারে। তবে এসব পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানো গেলে দাম এমনিতে কমে আসবে।

নিউজ লাইট ৭১