ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখন বোঝা যাচ্ছে যে কোটা কোনো ইস্যু না

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
  • / 21

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিআইডি ছবি

দেশজুড়ে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বোঝা যাচ্ছে যে কোটা কোনো ইস্যু না। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য দেশটাকে ধ্বংস করা। তারা আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।

সোমবার (জুলাই ২৯) বিকেলে গণভবনে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে ওই শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি-জামায়াত এরাই কিন্তু এবং জঙ্গি এরা। এই জঙ্গিরাই কিন্তু আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে। বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক কিছু না। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। একেবারে জঙ্গিবাদী কাজ।

তিনি বলেন, একে একে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী একটি মর্যাদার আসন পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে চলে। সবাই সম্মানের চোখে দেখে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আমরা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।

বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সহ জোটের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জানান, ১৪ দলের সভায় আমরা জামাত-শিবির কে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি সর্বসম্মতিক্রমে। এখন এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।

এদিন সকালে দুষ্কৃতিকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কার্যালয় পরিদর্শন করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পরাজিত শক্তি এই দেশকে অকার্যকর করতে চায়। ছাত্ররা বলেছে ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে তারা জড়িত নয়, কিছু দুর্বৃত্ত এই কাজ করেছে। দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছে। যারা সহিংসতার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে তারা স্বাধীনতার শত্রু, দেশের শত্রু।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

এখন বোঝা যাচ্ছে যে কোটা কোনো ইস্যু না

আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

দেশজুড়ে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বোঝা যাচ্ছে যে কোটা কোনো ইস্যু না। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য দেশটাকে ধ্বংস করা। তারা আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।

সোমবার (জুলাই ২৯) বিকেলে গণভবনে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে ওই শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি-জামায়াত এরাই কিন্তু এবং জঙ্গি এরা। এই জঙ্গিরাই কিন্তু আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে। বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক কিছু না। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। একেবারে জঙ্গিবাদী কাজ।

তিনি বলেন, একে একে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী একটি মর্যাদার আসন পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে চলে। সবাই সম্মানের চোখে দেখে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আমরা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।

বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সহ জোটের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জানান, ১৪ দলের সভায় আমরা জামাত-শিবির কে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি সর্বসম্মতিক্রমে। এখন এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।

এদিন সকালে দুষ্কৃতিকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কার্যালয় পরিদর্শন করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পরাজিত শক্তি এই দেশকে অকার্যকর করতে চায়। ছাত্ররা বলেছে ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে তারা জড়িত নয়, কিছু দুর্বৃত্ত এই কাজ করেছে। দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছে। যারা সহিংসতার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে তারা স্বাধীনতার শত্রু, দেশের শত্রু।

নিউজ লাইট ৭১