ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইন সংশোধনের উদ্যোগ: দেউলিয়া হলে মিলবে না সরকারি সুবিধা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯
  • / 135

ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দেউলিয়া আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এ আইনকে আরও কঠোর করা হবে। একই সঙ্গে আইনের বিধানগুলোর প্রয়োগ আরও সহজ ও সুনির্দিষ্ট করা হবে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ব্যক্তি ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হলে তিনি নিজ নামে সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ভোটও দিতে পারবেন না। কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন ঋণ নিতে পারবেন না। দেউলিয়া আইনের প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, যিনি দেউলিয়া হবেন তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না। উঠতে পারবেন না বিমানে। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াতও পাবেন না। তবে দেউলিয়ার দায় থেকে মুক্ত হলে আদালতের সম্মতি নিয়ে এসব সুবিধা আবার ভোগ করতে পারবেন।

খেলাপির দায় থেকে মুক্ত হতে কোনো ঋণখেলাপি এই আইনের আওতায় মামলা করে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারবেন। একইভাবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানও মামলা করে কোনো খেলাপিকে দেউলিয়া ঘোষণা করাতে পারবে।

এই আইনের আওতায় কেউ দেউলিয়া হলে আদালত থেকে এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। ফলে তারা নিজ নিজ উদ্যোগে দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি যাতে ওইসব সুবিধা ভোগ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করবে।

দেউলিয়া আইনে এসব বিধি বিধানের অনেক কিছুই রয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট আকারে নেই। এ কারণে এগুলোর প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। এবার প্রস্তাবিত সংশোধনীতে এসব বিধি বিধান যুক্ত এবং সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তি ও রিসিভার নিয়োগ, রিসিভারের প্রতিবেদন দাখিল সংক্রান্ত বিষয়ের দিনক্ষণও সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে।

এদিকে দেউলিয়া আইন প্রয়োগের বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে আইনের প্রয়োগের সমস্যাগুলো তুলে ধরে এর সমাধানে সংশোধনের সুপারিশ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, দেউলিয়া আইন প্রয়োগ করে অনেক দেশ খেলাপি ঋণ আদায়ে সুবিধা পেয়েছে। বাংলাদেশেও এটি পাওয়া সম্ভব। এর জন্য আইনের স্পষ্টতা দরকার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, দেউলিয়া আইনের আওতায় মামলা হলেও এগুলো আইনের দুর্বলতার কারণে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। ফলে আইনটি ইতিমধ্যেই কার্যকারিতা হারিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনটি ভালো। তবে এর স্পষ্টতা দরকার। একই সঙ্গে এটি প্রয়োগ করা হবে কিনা সে ব্যাপারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। তাহলে এর সুফল পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ঋণখেলাপিদের এমন একটি বার্তা দিতে হবে যে, ব্যাংক থেকে জনগণের আমানত নিয়ে ব্যবসার নামে তা আত্মসাৎ করা যাবে না। ফেরত দিতে হবে। তাহলেই খেলাপি ঋণ বাড়ার প্রবণতা কমে যাবে। আর্থিক খাতও এর সুফল পাবে।

এদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে দেউলিয়া আইনটি সংশোধন করে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার একটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগে থেকেই এই আইন সংশোধনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কমিটি কাজ করছে। একই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটিও এ বিষয়ে কাজ করছে।

দুটি কমিটির প্রতিবেদন সমন্বয় করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের নেতৃত্বে গঠিত অপর একটি কমিটি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।

আইনের খসড়ায় বলা হয়, দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি সরকারি আইন বা বিধি দ্বারা পরিচালিত কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। অর্থাৎ জাতীয়, স্থানীয় সংস্থা, বেসরকারি কোনো সমিতি বা পেশাদার সংস্থার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কেননা এসব নির্বাচনও সরকারি বিধি দ্বারা পরিচালিত হয়। এসব নির্বাচনে তিনি ভোটও দিতে পারবেন না।

মামলা দায়েরের পর আদালতের অনুমোদন ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না। আদালতের অনুমোদন নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে দেশে ফেরত আসতে হবে। না আসলে জেল-জরিমানার মুখে পড়তে হবে। দেউলিয়া ঘোষিত হলে দায় থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, সরকারি কোনো সুবিধা নিজ নামে ভোগ করতে পারবেন না। নিজের নামে থাকা সমুদয় সম্পত্তি দিয়ে দায় শোধ করতে হবে। তারপরও দায় থাকলে সেগুলোর জন্য সময় নিতে পারবেন। নির্ধারিত সময়ে দায় শোধ করতে না পারলে জেলে যেতে হবে।

প্রচলিত আইনে দেউলিয়া আদালতে মামলা হলে আদালত শুনানি শেষে রিসিভার নিয়োগ করেন। রিসিভার সংশ্লিষ্ট খেলাপির সম্পদ ও দায়দেনার হিসাব করে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এর ভিত্তিতে শুনানি সম্পন্ন করে আদালত রায় দেন। এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, দেশে রিসিভার নিয়োগ করার মতো কোনো পেশদার প্রতিষ্ঠান নেই।

ফলে রিসিভারের অভাবে রায় বিলম্বিত হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে রিসিভার নিয়োগ করার জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিধান থাকছে। একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন নিয়ে রিসিভার হিসেবে কাজ করার বিধান রাখা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক রিসিভার পাওয়া গেলে আইনের বাস্তবায়ন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তখন অনেকেই পেশাদার রিসিভার হিসেবে কাজ করতে উৎসাহী হবে।

Tag :

শেয়ার করুন

আইন সংশোধনের উদ্যোগ: দেউলিয়া হলে মিলবে না সরকারি সুবিধা

আপডেট টাইম : ০৯:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দেউলিয়া আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এ আইনকে আরও কঠোর করা হবে। একই সঙ্গে আইনের বিধানগুলোর প্রয়োগ আরও সহজ ও সুনির্দিষ্ট করা হবে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ব্যক্তি ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হলে তিনি নিজ নামে সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ভোটও দিতে পারবেন না। কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন ঋণ নিতে পারবেন না। দেউলিয়া আইনের প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, যিনি দেউলিয়া হবেন তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না। উঠতে পারবেন না বিমানে। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াতও পাবেন না। তবে দেউলিয়ার দায় থেকে মুক্ত হলে আদালতের সম্মতি নিয়ে এসব সুবিধা আবার ভোগ করতে পারবেন।

খেলাপির দায় থেকে মুক্ত হতে কোনো ঋণখেলাপি এই আইনের আওতায় মামলা করে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারবেন। একইভাবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানও মামলা করে কোনো খেলাপিকে দেউলিয়া ঘোষণা করাতে পারবে।

এই আইনের আওতায় কেউ দেউলিয়া হলে আদালত থেকে এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। ফলে তারা নিজ নিজ উদ্যোগে দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি যাতে ওইসব সুবিধা ভোগ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করবে।

দেউলিয়া আইনে এসব বিধি বিধানের অনেক কিছুই রয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট আকারে নেই। এ কারণে এগুলোর প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। এবার প্রস্তাবিত সংশোধনীতে এসব বিধি বিধান যুক্ত এবং সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তি ও রিসিভার নিয়োগ, রিসিভারের প্রতিবেদন দাখিল সংক্রান্ত বিষয়ের দিনক্ষণও সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে।

এদিকে দেউলিয়া আইন প্রয়োগের বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে আইনের প্রয়োগের সমস্যাগুলো তুলে ধরে এর সমাধানে সংশোধনের সুপারিশ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, দেউলিয়া আইন প্রয়োগ করে অনেক দেশ খেলাপি ঋণ আদায়ে সুবিধা পেয়েছে। বাংলাদেশেও এটি পাওয়া সম্ভব। এর জন্য আইনের স্পষ্টতা দরকার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, দেউলিয়া আইনের আওতায় মামলা হলেও এগুলো আইনের দুর্বলতার কারণে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। ফলে আইনটি ইতিমধ্যেই কার্যকারিতা হারিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনটি ভালো। তবে এর স্পষ্টতা দরকার। একই সঙ্গে এটি প্রয়োগ করা হবে কিনা সে ব্যাপারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। তাহলে এর সুফল পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ঋণখেলাপিদের এমন একটি বার্তা দিতে হবে যে, ব্যাংক থেকে জনগণের আমানত নিয়ে ব্যবসার নামে তা আত্মসাৎ করা যাবে না। ফেরত দিতে হবে। তাহলেই খেলাপি ঋণ বাড়ার প্রবণতা কমে যাবে। আর্থিক খাতও এর সুফল পাবে।

এদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে দেউলিয়া আইনটি সংশোধন করে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার একটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগে থেকেই এই আইন সংশোধনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কমিটি কাজ করছে। একই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটিও এ বিষয়ে কাজ করছে।

দুটি কমিটির প্রতিবেদন সমন্বয় করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের নেতৃত্বে গঠিত অপর একটি কমিটি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।

আইনের খসড়ায় বলা হয়, দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি সরকারি আইন বা বিধি দ্বারা পরিচালিত কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। অর্থাৎ জাতীয়, স্থানীয় সংস্থা, বেসরকারি কোনো সমিতি বা পেশাদার সংস্থার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কেননা এসব নির্বাচনও সরকারি বিধি দ্বারা পরিচালিত হয়। এসব নির্বাচনে তিনি ভোটও দিতে পারবেন না।

মামলা দায়েরের পর আদালতের অনুমোদন ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না। আদালতের অনুমোদন নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে দেশে ফেরত আসতে হবে। না আসলে জেল-জরিমানার মুখে পড়তে হবে। দেউলিয়া ঘোষিত হলে দায় থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, সরকারি কোনো সুবিধা নিজ নামে ভোগ করতে পারবেন না। নিজের নামে থাকা সমুদয় সম্পত্তি দিয়ে দায় শোধ করতে হবে। তারপরও দায় থাকলে সেগুলোর জন্য সময় নিতে পারবেন। নির্ধারিত সময়ে দায় শোধ করতে না পারলে জেলে যেতে হবে।

প্রচলিত আইনে দেউলিয়া আদালতে মামলা হলে আদালত শুনানি শেষে রিসিভার নিয়োগ করেন। রিসিভার সংশ্লিষ্ট খেলাপির সম্পদ ও দায়দেনার হিসাব করে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এর ভিত্তিতে শুনানি সম্পন্ন করে আদালত রায় দেন। এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, দেশে রিসিভার নিয়োগ করার মতো কোনো পেশদার প্রতিষ্ঠান নেই।

ফলে রিসিভারের অভাবে রায় বিলম্বিত হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে রিসিভার নিয়োগ করার জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিধান থাকছে। একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন নিয়ে রিসিভার হিসেবে কাজ করার বিধান রাখা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক রিসিভার পাওয়া গেলে আইনের বাস্তবায়ন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তখন অনেকেই পেশাদার রিসিভার হিসেবে কাজ করতে উৎসাহী হবে।