তিস্তার পানিতে ধসে যাচ্ছে বাঁধ-সড়ক
- আপডেট টাইম : ০৭:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
- / 25
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ছবি: নিউজ লাইট ৭১
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। ধসে যাচ্ছে বিভিন্ন বাঁধ ও সড়ক। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের লাখো মানুষ।
শনিবার বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা শহর রক্ষার্থে চন্ডিমারী বাঁধ ও তালেব মোড় ওয়াবদা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। হাতীবান্ধা-বড়খাতা বাইপাস সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধসে যাচ্ছে তিস্তা নদীর পানির চাপে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই সব বাঁধ মেরামত করা না গেলে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এতে তিস্তা নদীর গতিপথ উল্টো দিক দিয়ে চলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শনিবার সরেজমিনে গেলে এ দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধার কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাসের পাশে সাধুর বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে হাতীবান্ধা শহর রক্ষার্থে একটি বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই বাঁধটি এলাকায় চন্ডিমারী বাঁধ নামে পরিচিত। সেই বাঁধে ৬০/৭০ ফিট অংশ ধসে যাচ্ছে। জিও ব্যাগ পানিতে ভেসে যাচ্ছে কয়েক দিন ধরে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নে তালেব মোড়ের দক্ষিণে ওয়াবদা বাঁধ ও হাতীবান্ধা-বড়খাতা বাইপাস সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধসে যাচ্ছে তিস্তা নদীর পানির চাপে।
তিস্তা পাড়ের লোকজনের অভিযোগ, ধসে যাওয়ার স্থানগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। কিন্তু এখনো জরুরি কাজ শুরু না হওয়ার কারণে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ বাঁধ ভেঙে গেলে তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে উল্টো দিকে যাবে। এতে হাতীবান্ধা শহরে তিস্তা নদী ঢুকে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউ-পি সদস্য জাকির হোসেন জানান, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, বন্যা পরিস্থিতির নিয়মিত খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাউবোর সাথে কথা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে।
নিউজ লাইট ৭১