ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে মেরে টানতে টানতে বিএসএফ নিয়ে গেছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 112

নিউজ লাইট ৭১: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে মেরে টানতে টানতে বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম গাজী। সে সলিমপাড়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে।

স্থানীয়দের দাবি, বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন গাজী। ঘটনার পরপরই গাজীর মরদেহ নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

অন্যদিকে বিজিবি বলছে, গাজীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুলিতে গাজী আহত হয়ে বিএসএফের তত্ত্বাবধানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, গাজী, রুবেল, সাহাবুলসহ সলিমপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সীমান্তের বাংলাদেশি ভূখণ্ডে ঘাস কাটতে যান।

এসময় ভারতের জলঙ্গী থানার মুরাদপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ওপর অতর্কিত গুলি ছুড়লে গাজী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় রুবেলসহ অন্যরা পালিয়ে আসেন। পরে গুলিবিদ্ধ গাজীকে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি একজনের মারা যাওয়ার কথা লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নেয়া হয়েছে। তবে কোন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে সলিমপাড়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা ঘটনার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করছেন।

তিনি বলেন, বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিজিবিকে জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের সঙ্গে চোরাকারবারীদের গুলিবিনিময় হয়।

এসময় বিএসএফের ছোড়া গুলিতে ভারতীর ৩ চোরাকারবারী মারা গেছেন। সেখানে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের পায়ে গুলি লাগলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

Tag :

শেয়ার করুন

সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে মেরে টানতে টানতে বিএসএফ নিয়ে গেছে

আপডেট টাইম : ১০:০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে মেরে টানতে টানতে বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম গাজী। সে সলিমপাড়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে।

স্থানীয়দের দাবি, বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন গাজী। ঘটনার পরপরই গাজীর মরদেহ নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

অন্যদিকে বিজিবি বলছে, গাজীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুলিতে গাজী আহত হয়ে বিএসএফের তত্ত্বাবধানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, গাজী, রুবেল, সাহাবুলসহ সলিমপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সীমান্তের বাংলাদেশি ভূখণ্ডে ঘাস কাটতে যান।

এসময় ভারতের জলঙ্গী থানার মুরাদপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ওপর অতর্কিত গুলি ছুড়লে গাজী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় রুবেলসহ অন্যরা পালিয়ে আসেন। পরে গুলিবিদ্ধ গাজীকে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি একজনের মারা যাওয়ার কথা লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নেয়া হয়েছে। তবে কোন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে সলিমপাড়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা ঘটনার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করছেন।

তিনি বলেন, বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিজিবিকে জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের সঙ্গে চোরাকারবারীদের গুলিবিনিময় হয়।

এসময় বিএসএফের ছোড়া গুলিতে ভারতীর ৩ চোরাকারবারী মারা গেছেন। সেখানে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের পায়ে গুলি লাগলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।