কথা বলতে চেয়েছিলাম, প্রধানমন্ত্রী শাসিয়েছেন
- আপডেট টাইম : ০৯:৫১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / 109
নিউজ লাইট ৭১: মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওবায়দুল কাদের। সেখান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সরাসরি তিনি হাজির হন নিজ দপ্তর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। এরপর হঠাৎ করেই সমসাময়িক বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন কাদের।
এদিকে আরও দু’দিন আগেই হাসপাতাল ছাড়ার কথা ছিল ওবায়দুল কাদেরের। নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করার কথা ছিল তার। তবে ওইসময় হাসপাতালে বিশ্রামে ছিলেন তিনি, নির্বাচন নিয়ে কোন কথাই বলেননি।
কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাদের জানান, আরো দু’দিন আগেই আসতে চেয়েছিলাম। কথা বলতে চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শাসিয়েছেন।
কাদের আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করে, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়ার সময় বকা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের না হওয়ার কথা বলেছেন। তাই হাসপাতাল থেকে বের হয়নি।
দুই সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ছুটি থাকায় ভোটাররা বাড়ি চলে যাওয়ায়, এসএসসি পরীক্ষা ও পরিবহন সমস্যার কারণে ভোটের হার কম হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া বড় কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি।
এ নির্বাচন থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানান কাদের।
নির্বাচন, ইভিএম, সরকারি দলের ভয়ংকর প্রস্তুতি, বিএনপির ঢাকার বাইরে থেকে লোক জড়ো করাসহ নানা কারণে ভোটারদের আগ্রহ কম ছিল। এ জন্য জনগণের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি প্রাপ্ত ভোট নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি বড় দল, তবে তাদের বর্তমান সাংগঠনিক যে এলোমেলো অবস্থা, সেই তুলনায় বিএনপি নির্বাচনে ভাল করেছে।
তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতিতে মানুষের অনীহা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।
নিজের দলের প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এসব কারণে ভোটের হার কম। এখন ওয়ার্ড পর্যন্ত সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে।
তীব্র শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন সেতুমন্ত্রী। সেখান থেকে সকালে নিজ দপ্তরে আসেন কাদের।