ভোটকে উৎসবমুখর করতে ও যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইশৃঙ্খলা বাহিনী
- আপডেট টাইম : ০৮:১২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / 185
নিউজ লাইট ৭১: বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামীকাল শনিবার। ভোটারা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, ভোটকে উৎসবমুখর করতে ও যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইশৃঙ্খলা বাহিনী। বিজিবি, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে গোটা রাজধানী। গতকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি। ভোট গণনা ও কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা শেষ হওয়ার পরও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের দুইদিন পর পর্যন্ত ঢাকার নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেই থাকছে বলে জানা গেছে।
প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি প্রস্তুত: এদিকে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ঘিরে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেছেন, গত এক মাসের প্রস্তুতিতে সাধারণ মানুষের বার্তা পাওয়ার কথা যে নির্বাচন আনন্দমুখর ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নিরপত্তা বলয় তৈরি: অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য বাহিনীগুলো একই ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেকটি বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, নির্বাচন উপলক্ষে কোনো বহিরাগতদের হয়রানি করা হচ্ছে না।
সব বাহিনী মিলে মোট ৫০ হাজারের মতো ফোর্স: শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে তাদের মোতায়েন করা হয়। তারা ভোটের আগে ও পরে মোট চারদিন এ দায়িত্ব পালন করবেন। এবারের নির্বাচনে সব বাহিনী মিলে মোট ৫০ হাজারের মতো ফোর্স নিয়োজিত থাকবে বলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম জানান, শুক্রবার থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেটও মাঠে থাকবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট এবং দুইটি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট থাকছেন।
পুরো শহরেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে: একাধিক দায়িত্বশীল পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও অতীত ইতিহাস বিবেচনায় যেখানে বা যে ভোটকেন্দ্রে যে রকম ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন, তা নেয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের পাশাপাশি পুরো শহরেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। নির্বাচনী মোবাইল পার্টি, স্ট্র্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স, ডিবি, সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটও প্রস্তুত থাকবে। ওই কর্মকর্তারা আরো জানান, এবারের ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে একটি সমন্বিত ও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেন কেউ নাশকতা করতে না পারে।