ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / 30

বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ছ। ছবি: সংগৃহীত

দেশে বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা কত, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই তালিকা জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আর অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা ছাড়াও আদালত জানতে চেয়েছেন, দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যেসব পদে বিদেশি কর্মীরা কাজ করছেন, সেসব পদের বিপরীতে দেশে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কত।

এই প্রতিবেদন দিতে পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

আর অর্থসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে দিতে হবে রুলের জবাব।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এম সারোয়ার হোসেন। সঙ্গে ছিলেন সালাউদ্দিন রিগ্যান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, আনিচ উল মাওয়া।

গত বছর ১৯ নভেম্বর বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন ঢাকার বাসিন্দা মোয়াহতাসিম ইসলাম, নওশিন নাওয়ার নূরজাহান, মুমতাহিনা আলম, মাইশা মুনাওয়ারা। তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-সম্মান পাস করে এখন শিক্ষিত বেকার।

ওই নোটিশে তারা দেশে বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন, অননুমোদিত বিদেশি কর্মী ও অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন-১৯৪৬, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫২, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন-১৯৪৭ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ অনুসারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তারা।

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, গত বছরের শেষ তিন মাসে দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ হাজার। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ২৩ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার আর নারী বেকারের সংখ্যা সাত লাখ ৮০ হাজার। চলতি বছর শুরুর দিকে এ জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

আপডেট টাইম : ০৯:০০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

দেশে বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা কত, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই তালিকা জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আর অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা ছাড়াও আদালত জানতে চেয়েছেন, দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যেসব পদে বিদেশি কর্মীরা কাজ করছেন, সেসব পদের বিপরীতে দেশে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কত।

এই প্রতিবেদন দিতে পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

আর অর্থসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে দিতে হবে রুলের জবাব।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এম সারোয়ার হোসেন। সঙ্গে ছিলেন সালাউদ্দিন রিগ্যান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, আনিচ উল মাওয়া।

গত বছর ১৯ নভেম্বর বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন ঢাকার বাসিন্দা মোয়াহতাসিম ইসলাম, নওশিন নাওয়ার নূরজাহান, মুমতাহিনা আলম, মাইশা মুনাওয়ারা। তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-সম্মান পাস করে এখন শিক্ষিত বেকার।

ওই নোটিশে তারা দেশে বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন, অননুমোদিত বিদেশি কর্মী ও অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন-১৯৪৬, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫২, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন-১৯৪৭ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ অনুসারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তারা।

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, গত বছরের শেষ তিন মাসে দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ হাজার। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ২৩ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার আর নারী বেকারের সংখ্যা সাত লাখ ৮০ হাজার। চলতি বছর শুরুর দিকে এ জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস।

নিউজ লাইট ৭১