মেট্রোরেলে ভ্যাট না বসাতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি: ওবায়দুল কাদের
- আপডেট টাইম : ০৭:২১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
- / 26
মেট্রোরেলের ভাড়ায় ভ্যাট না বসাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল অনেক জনপ্রিয় গণপরিবহন। একে আরও জনপ্রিয় করতে চাই। এ অবস্থায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনঃবিবেচনা করতে অনুরোধ জানিয়েছি।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ব্র্যান্ডিং সেমিনার অন ঢাকা মেট্রোরেল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পৃথিবীর কোন দেশে মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে এমন প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ভারতের মেট্রোরেলেও ভ্যাট নেই। তাহলে আমরা কেন ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসাব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে ৬টি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে। এগুলোর মধ্যে দুটিই হবে পাতাল রেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে পরিকল্পনা, ঢাকা সেটারই অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করে বলেন, রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোর গরীব চেহারা দেখলে লজ্জা লাগে। এত গরীব গরীব চেহারা আমাদের বাসের। আফ্রিকার ছোট ছোট শহরেও এর চেয়ে ভালো বাস চলে।
তিনি বলেন, যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের বিস্ময়, সে দেশের রাজধানী পৃথিবীর অন্যতম খারাপ রাজধানী। বসবাসযোগ্য ১৪০টি দেশের মধ্যে ১৩০-এর পরে আমাদের অবস্থান। এটা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে মেলে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এই শহরে এত দামী গাড়ি চলে। কিন্তু বাসের অবস্থা এত খারাপ কেন? বারবার কথাবার্তা বলেও সমাধান করা যায়নি। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে।
তিনি বলেন, আজ আমাদের বুড়িগঙ্গা শেষ, কর্ণফুলীও শেষ। এখন মুখে লেকচার দিয়ে লাভ নেই। এতবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
এদিকে, মেট্রোরেলের বর্তমান রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে। সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।
এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।
নিউজ লাইট ৭১