ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে ফেরি চলাচল বন্ধ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • / 31

ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদে (স্বরূপকাঠিতে) মঙ্গলবার রাতে সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে নদীর পশ্চিম পাড়ের ইন্দুরহাট ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকার একটি দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফেরির গ্যাংওয়ে নদীতে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বুধবার সকাল থেকে স্বরূপকাঠি-ইন্দুরহাট ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলসহ জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

ফেরি চালক ওয়াদুদ ইসলাম জানান জানান, সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে ফেরিঘাটের ইন্দুরহাট পাড়ের গ্যাংওয়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে একই সময়ে আকস্মিক নদী ভাঙনে সোহাগদল ও গনমান এলাকায় প্রায় ৫০ শতাংশ জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন সংলগ্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ছোট বড় অনেক ফাটল।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে ইন্দুরহাট ফেরিঘাটের ফেরিতে ওঠা-নামার গ্যাংওয়েসহ ঘাট সংলগ্ন তিনটি দোকানও মালামালসহ নদীগর্ভে  বিলীন হয়ে যায়। ফলে ৪-৫ ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে গ্যাংওয়ে স্থানান্তর করে পুনরায় ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়।

সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যে দক্ষিণ কৌরি খাড়া ও গনমান গ্রামটি প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৩ যুগ থেকে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়ে বিভিন্ন গ্রামের অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন জানান, ফেরিঘাটসহ সোহাগদল এলাকার ভাঙন রোধে ব্লক দ্বারা স্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজ বাস্তবায়নে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকল্পকাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে ফেরি চলাচল বন্ধ

আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

পিরোজপুরের নেছারাবাদে (স্বরূপকাঠিতে) মঙ্গলবার রাতে সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে নদীর পশ্চিম পাড়ের ইন্দুরহাট ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকার একটি দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফেরির গ্যাংওয়ে নদীতে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বুধবার সকাল থেকে স্বরূপকাঠি-ইন্দুরহাট ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলসহ জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

ফেরি চালক ওয়াদুদ ইসলাম জানান জানান, সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে ফেরিঘাটের ইন্দুরহাট পাড়ের গ্যাংওয়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে একই সময়ে আকস্মিক নদী ভাঙনে সোহাগদল ও গনমান এলাকায় প্রায় ৫০ শতাংশ জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন সংলগ্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ছোট বড় অনেক ফাটল।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে ইন্দুরহাট ফেরিঘাটের ফেরিতে ওঠা-নামার গ্যাংওয়েসহ ঘাট সংলগ্ন তিনটি দোকানও মালামালসহ নদীগর্ভে  বিলীন হয়ে যায়। ফলে ৪-৫ ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে গ্যাংওয়ে স্থানান্তর করে পুনরায় ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়।

সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যে দক্ষিণ কৌরি খাড়া ও গনমান গ্রামটি প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৩ যুগ থেকে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়ে বিভিন্ন গ্রামের অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন জানান, ফেরিঘাটসহ সোহাগদল এলাকার ভাঙন রোধে ব্লক দ্বারা স্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজ বাস্তবায়নে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকল্পকাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১