আমাকে উৎখাত করলে ক্ষমতায় কে আসবে
- আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
- / 33
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে উৎখাত করলে পরবর্তীতে কে আসবে। কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়। কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়। সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর সেটা স্পষ্ট নয় বলেই তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সেখানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের অতি বাম, অতি ডান– সবই এখন ‘এক হয়ে গেছে’ বলে দুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন শেখ হাসিনা। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দুই মেরু এক হয়ে সরকারকে উৎখাত করার কথা বলছে। এই অবস্থায় আপনি জাতিকে কী বার্তা দিতে চান?
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাম চলে গেছে নব্বই ডিগ্রি ঘুরে, তারা নব্বই ডিগ্রি ঘুরে গেছে আর কি। আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই, বিশেষ করে আমরা যাদের অতি বাম মনে করি, তারা সব সময় প্রগতিশীল দল, তারা খুবই গণমুখি দল ইত্যাদি ইত্যাদি…।
‘সেখানে আমার প্রশ্ন হল, ঠিক আছে, তারা আমাকে উৎখাত করবে, পরবর্তীতে কে আসবে তাহলে? সেটা কি ঠিক করতে পেরেছেন? কারা আসবে? কে আসবে? কারা দেশের জন্য কাজ করবে? তারা কাকে আনতে চায়?’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সেটা কিন্তু স্পষ্ট না, আর সেটা স্পষ্ট না বলেই কিন্তু কেউ জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। হ্যাঁ আন্দোলন করে যাচ্ছে। কেউ বিদেশে বসে, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে প্রতিদিন অনলাইনে বসে আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছে। সেখানেও তো প্রশ্ন আছে। যারা আন্দোলন করে করুক, আমরা তো বাধা দিচ্ছি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেই আমেরিকার স্টাইলে আন্দোলন-বিক্ষোভ দমন করতে বলবো নাকি পুলিশকে। কেননা, পুলিশকে তো সবসময় ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে বলেছি এবং তারা দিয়েছেও।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় কথা বলেন উপজেলা নির্বাচন নিয়েও। এ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতেই এমপিদের পরিবারের কাউকে না দাঁড়াতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একথা জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে কেউ এ নির্বাচনে না দাঁড়ায়। সবকিছু নিজেরাই নেবে, কর্মীরা কিছু পাবে না, তা তো হয় না। সেজন্যই এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। অন্য দলগুলো নির্বাচনে আসেন না, তাদের সমর্থন-সক্ষমতা নেই বলে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আমার শক্তি জনগণ। জনগণ যত দিন চাইবে ক্ষমতায় থাকব। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য যত চক্রান্ত আর বাধা আসুক আমরা বিজয় নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে।
১৫ বছর আগে বাংলাদেশ কেমন ছিল। এই সময়ে কি কোনো পরিবর্তন হয়নি? এমন প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচন করেছি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও ভোটের অধিকার রক্ষার নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
নিউজ লাইট ৭১