জেলেদের সাথে মৎস্য কর্মকর্তাদের সংঘর্ষে আহত ৮
- আপডেট টাইম : ০৭:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
- / 34
ভোলার মনপুরার মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ চাই জাল দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে জেলেদের সাথে অভিযানে দায়িত্বে থাকা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে দুই দফা পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা মৎস্য অফিসের তিনজন ও ৫ জেলে সহ ৮ জন আহত হয়। এদের মধ্যে মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি ও এক জেলের স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার ১ নং মনপুরার ইউনিয়নের তুলাতুলী মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনা ও ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পরপর দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জেলেরা হলেন, করিম মাঝি, জসিম মাঝি, বাবুল মাঝি, ইউনুছ মাঝি ও জেলের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন। এদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
অপরদিকে উপজেলা মৎস্য অফিসের আহতরা হলেন- ক্ষেত্র সহকারি মনিরুল ইসলাম ও রাকিব।
আহত জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, উপজেলা মৎস্য অফিসকে প্রতি চাই জালের নৌকা মাছ শিকার করতে ৪ হাজার টাকা দেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকজন মেঘনায় অভিযানের নামে প্রতি জেলের কাছে, আরও বেশি টাকা দাবী করলে জেলেরা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন মৎস্য অফিসের লোকজন নদীতে জেলেদের মারধর শুরু করেন। পরে জেলেরা সংঘবদ্ধ হয়ে অভিযানে দায়িত্বে উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদেরে নদীতে ধাওয়া দেয়। পরে তুলাতলী মৎস্য ঘাটে ফের জেলেদের সাথে মৎস্য অফিসের হাতাতি শুরু হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
অপরদিকে মনপুরা উপজেলা মৎস্য অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, জেলেদের অভিযোগ সত্য নয়। মেঘনায় নিষিদ্ধ চাই জাল দিয়ে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীদের মদদে জেলেরা পাঙ্গাস মাছের পোনাসহ ছোট ছোট মাছের পোনা নিধন করছে। নিষিদ্ধ জালে বিরুদ্ধে মেঘনায় অভিযানে গেলে অভিযানে দায়িত্বরত অফিসারদের ওপর জেলেরা হামলা করে। এতে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অবহিত করার পর জেলেদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এই ব্যাপারে সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, জেলেদের সাথে মেঘনায় অভিযানে পরিচালনাকারী উপজেলা মৎস্য অফিসরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় কেউ থানায় এখন পর্যন্ত মামলা করেনি।
এই ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নিউজ লাইট ৭১