(এনআরসি) ইস্যুটিকে বাংলাদেশ দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে
- আপডেট টাইম : ০৮:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০
- / 117
নিউজ লাইট ৭১: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারতের জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনআরসি) ইস্যুটিকে বাংলাদেশ দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে।
বাংলাদেশের ওপর এর কোনো অযাচিত প্রভাব পড়বে না সে নিশ্চয়তা ভারত সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ ব্যাপারে ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ বৈঠকে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অসীম কুমার উকিলের (নেত্রকোণা-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের একটি বন্ধুপ্রতিম দেশ। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। ভারত তার বিভিন্ন প্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনআরসি) পরিকল্পনা নিয়েছে।
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশেষ করে উত্তরোত্তর জিডিপি বৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে। ভারতে বাংলাদেশের কোন অবৈধ অভিবাসনের কোন অর্থনৈতিক অনুপ্রেরণাবোধের যৌক্তিকতা আছে বলে প্রতীয়মান নয়।
তিনি বলেন, ভারত, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তায় দেশের নিরাপত্তা বাহিনী সদা সতর্কাবস্থায় বিশেষ নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছে।
যেসব সীমান্ত এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সে এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক সমন্বিত টহল নজরদারী জোরদার করা হয়েছে। এ জন্য ১২৮ টি বর্ডার সেন্টি পোস্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে ৬৯৭টি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেজন্য স্থানীয় এলাকাবাসীকে বিশেষ সচেতনতা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সীমান্তে অপরাধ দমন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ এবং মাদক পাচার বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী টহল জোরদার অব্যাহত আছে সবসময়।