ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোর গ্যাং কে ছাড় দিচ্ছি না

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / 39

ছবি : সংগৃহীত

র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, কিশোর অপরাধ নির্মূলে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার ও কিশোর অপরাধীদের মদদ দিচ্ছে বা যারা এ ধরনের কাজ করছে আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কাউকে ও ছাড় দিচ্ছি না।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন। র‍্যাব-১ কিশোর অপরাধে জড়িত ৩২ জনকে আটক করে। গত কয়েকদিন আগে র‍্যাব ও পুলিশ আটক করেছে। যাদের আটক করেছি তাদের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর। তারাও একদমই তরুণ।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, যে কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে যাদের নামে মামলা হচ্ছে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পাশাপাশি একটি সামাজিক উদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য আমাদের যার যার ক্ষেত্র থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনারা জানেন কিশোর গ্যাং নিয়ে একটি বইও লিখেছি। যে যার সেক্টর থেকে আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে সমাজ থেকে কিশোর অপরাধ নির্মূল করা যায়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, যারা এ ধরনের অপরাধ করছে বা জড়িত রয়েছে তাদের যদি আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাবে। অপরাধীদের সাহস বেড়ে যাবে। যারা অপরাধ করছে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি ও ছাড় দিচ্ছি না। এ ধরনের অভিযান আমাদের চলমান থাকবে।

এর আগে ৫ মার্চ রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে জড়িত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী ও গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশিরভাগ কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তাররা বাড্ডা, ভাটারা, তুরাগ, ৩০০ ফিট ও যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টার্গেট করা ব্যক্তিদের ইভটিজিং কিংবা কোনো সময় ধাক্কা দেয়ার ছলে উত্ত্যক্ত করত। এরপর তারা ঘেরাও করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোবাইল এবং নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যেত। এছাড়া তারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও চুরির সঙ্গে জড়িত। এসব গ্যাং সদস্যরা মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত রয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার করা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সাবেক ও বর্তমান কিছু কাউন্সিলরদের নাম জানিয়েছে। এটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে যদি কোনো কাউন্সিলরদের নাম পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

কিশোর গ্যাং কে ছাড় দিচ্ছি না

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, কিশোর অপরাধ নির্মূলে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার ও কিশোর অপরাধীদের মদদ দিচ্ছে বা যারা এ ধরনের কাজ করছে আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কাউকে ও ছাড় দিচ্ছি না।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন। র‍্যাব-১ কিশোর অপরাধে জড়িত ৩২ জনকে আটক করে। গত কয়েকদিন আগে র‍্যাব ও পুলিশ আটক করেছে। যাদের আটক করেছি তাদের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর। তারাও একদমই তরুণ।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, যে কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে যাদের নামে মামলা হচ্ছে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পাশাপাশি একটি সামাজিক উদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য আমাদের যার যার ক্ষেত্র থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনারা জানেন কিশোর গ্যাং নিয়ে একটি বইও লিখেছি। যে যার সেক্টর থেকে আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে সমাজ থেকে কিশোর অপরাধ নির্মূল করা যায়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, যারা এ ধরনের অপরাধ করছে বা জড়িত রয়েছে তাদের যদি আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাবে। অপরাধীদের সাহস বেড়ে যাবে। যারা অপরাধ করছে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি ও ছাড় দিচ্ছি না। এ ধরনের অভিযান আমাদের চলমান থাকবে।

এর আগে ৫ মার্চ রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে জড়িত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী ও গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশিরভাগ কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তাররা বাড্ডা, ভাটারা, তুরাগ, ৩০০ ফিট ও যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টার্গেট করা ব্যক্তিদের ইভটিজিং কিংবা কোনো সময় ধাক্কা দেয়ার ছলে উত্ত্যক্ত করত। এরপর তারা ঘেরাও করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোবাইল এবং নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যেত। এছাড়া তারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও চুরির সঙ্গে জড়িত। এসব গ্যাং সদস্যরা মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত রয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার করা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সাবেক ও বর্তমান কিছু কাউন্সিলরদের নাম জানিয়েছে। এটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে যদি কোনো কাউন্সিলরদের নাম পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১