দুই পক্ষের বিরোধে কাটা হয়েছে সেচের ড্রেন
- আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
- / 57
মাদারীপুরের ডাসারে সেচের মেশিনের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে পানি সেচ দেওয়া ড্রেন কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। এ কারণে ইরি ধানের চাষের জন্য পানি সেচ দিতে না পারায় বিপাকে পড়েছে গ্রামের প্রায় শতাধিক সাধারণ কৃষক।
ডাসার উপজেলার পূর্ব নবগ্রাম গ্রামের ইরি ধান চাষীরা জানান,সেচের মেশিনের জায়গা নিয়ে মালিকানা জটিলতায় তাদের ইরি ধানের চাষ প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
চাষীরা আরও জানান, ইরি ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুতের উপযোগী সময় চলে যাচ্ছে অথচ সেচের মেশিন থেকে জমিতে পানি যাওয়ার ড্রেনগুলো কেটে ফেলার কারণে তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না।
জানা গেছে,ডাসার উপজেলার পূর্ব নবগ্রাম মৌজায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএডিসি’র সরকারি অনুদানে একটি সেচের ড্রেন স্থাপন করা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর সেটি পরিচালনা করে আসছিলেন ওই এলাকার গোবিন্দ রায়ের ভাতিজা। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন যাবত একক আধিপত্যে সেচ ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছে বিধায় কৃষকেরা সেচের ভালো সুফল না পেয়ে এ বছর ওই এলাকার কৃষকেরা মিলে নতুন করে বিশ্বনাথকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু বিশ্বনাথ এবং গোবিন্দ রায়ের সাথে পারিবারিক বিরোধ থাকায় গোবিন্দ রায় জমির ৪/৫ স্থানে ড্রেন কেটে ফেলেছে। এই বিরোধের জেরেই ওই এলাকার শতাধিক সাধারণ কৃষক ফসল উৎপাদনে বিপাকে পড়েছে।
কৃষকরা বলেন, এ বছর ধান উৎপাদন করতে না পারলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। পানির কারণে ধান লাগাতে পারছি না।দ্রুত সেচ ব্যবস্থা চালু করে আমাদের জমিতে পানির ব্যবস্থা করা হোক।পানির অভাবে আমাদের রোপনকৃত ধানের জমি ফাটল ধরে আছে। পানির ব্যবস্থা না হলে ধান গাছ মরে যাবে। আমাদের দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হোক।
কৃষক সুবাস রায় বলেন, ১ সপ্তাহ আগে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য খালে মটর দিয়ে পানি তুলতে গেলে গোবিন্দ রায় বাধাঁ দেয়। তিনি বিভিন্ন কুচক্রী মহল নিয়ে সেচের ড্রেন কেটে দিয়েছে।জমি ইরি ধানের জমি শুকিয়ে গিয়েছে।আমরা সরকারের কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই।
সবিতা শিকদার বলেন, গোবিন্দ্র রায় ড্রেন কেটে দেওয়ায় জমি শুকিয়ে গিয়েছে। কষ্ট করে আমি ইরি ধান রোপণ করেছি। সময়মত পানি না দিতে পারলে ফসল আর হবে না। আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
এ বিষয়ে গোবিন্দ রায় বলেন আমি আমার ভাতিজাকে দিয়ে পানি সেচ দেওয়ার জন্য মটরের লাইন বসাইছি। বার মাস বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি। তারা ষড়যন্ত্র করে বিশ্বনাথ কে সেচ দিতে বলছে। আমার জায়গা দিয়ে পানি সেচ দিতে দেব না। কৃষকরা যাকে সেচ দেওয়ার দায়িত্ব দিছে তার জায়গা দিয়ে ড্রেন করে পানি দিবে।আমার জায়গা দিয়ে আমি পানি দিতে দিবো না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ আফরোজ বলেন, আমি কৃষকদের সমাধানের ডেকেছি কৃষকরা যাতে জমিতে পানি পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।
নিউজ লাইট ৭১