ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারও কাছে মাথা নত করেন না বঙ্গবন্ধুর কন্যা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 51

সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, তিনি কারও কাছে মাথা নত করেন না, করবেও না। আমি জাতির পিতার কন্যা, কারও কাছে মাথা নত করি না বললেন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় ফরিদপুর পৌরশহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭১-এ মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাদের সালাম জানাই। আপনাদের আত্মত্যাগে আমাদের দেশকে পেয়েছি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। দেশ স্বাধীন হয়। ইয়াহিয়ার পতন হয়। ভুট্টু ক্ষমতায় আসে। আন্তর্জাতিক চাপে বাধ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে।

‘তিনি দেশে ফিরে এক যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ দেখেন। রাস্তা ঘাট নেই। সবই ভাঙা। এ দেশে যুদ্ধকালীন সময় ফসল হয়নি, গোলায় এক ফোটা ধান ছিল না। কারণ, পাকিস্তানিরা আগুন দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এক পয়সাও রিজার্ভ ছিল না। শূন্য হাতে ধ্বংস স্তূপে দাঁড়িয়ে একটার পর একটা গড়তে শুরু করেন জাতির পিতা। তিন বছর সাত মাসে জাতিসংঘে দেশকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন তিনি,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা। সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হবে না। অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হন জিয়াউর রহমান। দেশের বাইরে রিফিউজি হিসেবে আমাদের থাকতে হয়েছিল। ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাই। সমস্ত দেশে ঘুরে বেড়াই। দেশের উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

কারও কাছে মাথা নত করেন না বঙ্গবন্ধুর কন্যা

আপডেট টাইম : ০৫:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, তিনি কারও কাছে মাথা নত করেন না, করবেও না। আমি জাতির পিতার কন্যা, কারও কাছে মাথা নত করি না বললেন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় ফরিদপুর পৌরশহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭১-এ মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাদের সালাম জানাই। আপনাদের আত্মত্যাগে আমাদের দেশকে পেয়েছি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। দেশ স্বাধীন হয়। ইয়াহিয়ার পতন হয়। ভুট্টু ক্ষমতায় আসে। আন্তর্জাতিক চাপে বাধ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে।

‘তিনি দেশে ফিরে এক যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ দেখেন। রাস্তা ঘাট নেই। সবই ভাঙা। এ দেশে যুদ্ধকালীন সময় ফসল হয়নি, গোলায় এক ফোটা ধান ছিল না। কারণ, পাকিস্তানিরা আগুন দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এক পয়সাও রিজার্ভ ছিল না। শূন্য হাতে ধ্বংস স্তূপে দাঁড়িয়ে একটার পর একটা গড়তে শুরু করেন জাতির পিতা। তিন বছর সাত মাসে জাতিসংঘে দেশকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন তিনি,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা। সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হবে না। অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হন জিয়াউর রহমান। দেশের বাইরে রিফিউজি হিসেবে আমাদের থাকতে হয়েছিল। ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাই। সমস্ত দেশে ঘুরে বেড়াই। দেশের উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।

নিউজ লাইট ৭১