বসতভিটা দখল!
- আপডেট টাইম : ০২:২২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / 53
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের সহরাব হোসেন। যিনি ভূমিহীন মানুষ হিসাবে পরিচিত। ভূমি আইনের সকল নিয়ম মেনে এরশাদ সরকারের সময়ে তাকে ৪ শতক জমি ৯৯ বছরের জন্য ভোগ দখল করতে দেন সরকার।
দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি ঐ জায়গায় বসতবাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন।তার বসত বাড়ির পাশে আরো ৪ শতক জমি রয়েছে। সেই ৪ শতক জমি ৩ বছরের জন্য আবারো লিজ দেওয়া তাকে।সেই জায়গায়টি জলাশয় পরিত্যাক্ত ছিল পরবর্তী সময় সেখানে মাটি ফেলে উঁচু করে সৌরভ হোসেন সেখানে একটি জল মোটর বসান ।হঠাৎ করেই তার প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা,পিতা মৃত আজির উদ্দিন আবু হেনা, পিতা মৃত আজির উদ্দিন ,সাহাজ উদ্দিন, পিতা মৃত আলিমুদ্দিন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর মোটর বসানোকে কেন্দ্র করে সহরাব হোসেনের পরিবারের উপর আতর্কিত হামলা চালায় এ সময় তারা সহরাব হোসেনের শোবার ঘরটি ও ভাংচুর করেন। সহরাবের পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরকে লাঞ্চিত করেন।
সহরাব হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান নিম্ন তফসিলের জমি চলতি বছরের আগষ্ট মাসের ৩০ তারিখে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাংলা ১৪৩০ হইতে ১৪৩২ সন পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদে ৪শতক জমি ইজারার কাগজে বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন সেই জমির পাশে আমি বসতবাড়ি করে সেখানে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। যে ৪শতক জমি আমি লিজ নিয়েছি সেই জায়গাটি পরে আমার প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা, আবু হেনা, সাহাজ আমার লিজ কৃত জায়গায় বে আইনি ভাবে এসে জবরদখল করে খড়ির ঘর নির্মাণ করেন ও কিছু আম গাছ রোপন করেন।আমি তাদেরকে আম গাছ লাগাতে নিষেধ করলে তারা আমার কোন কথা না শুনে উলটো আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারমুখি আচরণ করে।এ সময় গোলাম মোস্তফা, আবু হেনা, সাহাজ উদ্দিনকে আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সে আমকে দেশি অস্ত্র নিয়ে মারতে আসে।পরে আমি প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচি। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি আমার জায়গার উপরে যেতে পারছি না তারা আমার পরিবারের কাউকে দেখলেই মারমুখী আচরণ করছে। এই মত অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি।
তিনি সরকারের নিকট অনুরোধ করেন তার উপর নির্যাতন বন্ধে। হত দরিদ্র সহরাব হোসেনের স্ত্রী সনেকা বিবি এই ঘটনার নিরসনে দখল মুক্ত চেয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন ,অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে,সেটি পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিশোরপুর গ্রামের স্থানিয়রা জানান ভুমিহীন সনেকার পরিবারের উপর প্রভাবশালী একটি মহল অন্যায় ভাবে নির্যাতন করছে যা সত্যিই দুঃখ জনক। দখল কারিরা প্রভাবশালী হয়ার কারনে স্থানিরা এর কোন প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পায়না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লীষ্ট মহল।
নিউজ লাইট ৭১